আশিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরে অবস্থিত ঝিকরগাছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আয়োজন করার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন উক্ত স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক।

গত বুধবার (২০ নভেম্বর) দাখিলকৃত আবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর ঠিক ৪দিন পূর্বে ২ জানুয়ারি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত নির্বাচনকে ঘিরে ২টি শক্তিশালী প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির প্রচারণায় যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের সুত্রপাত হতে পারে। এজন্য আবেদনকারীরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই নির্বাচনটি আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত স্কুলটি ঝিকরগাছা পৌরসভার মোবারাকপুর গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটিকে ঝিকরগাছার বিএনপির রাজধানী হিসেবে গন্য করা হয়। স্কুলের সভাপতি হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে দুইটি গ্রুপই সক্রিয়। দুই দলই চায় তাদের সমর্থিত সভাপতি নির্বাচিত হোক। এজন্য ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ২টি দল হতে ২টি প্যানেল দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সেটা সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে।

স্কুলের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আব্দুর রব বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে জাতীয় নির্বাচনের ৪দিন আগে এই নির্বাচন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সবাই যখন জাতীয় নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সেইসময় তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, ৫ দিন আগে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানানো হলেও তিনি আমাদেরকে এখনও কিছু জানননি। এই নির্বাচনকে ঘিরে যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায়ভার সকলকে বহন করা লাগবে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান উদ্দিন বলেন, নির্বাচন স্থগিত চেয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যেটা চাইবেন সেটাই হবে।

নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, যেহেতু আইনকানুন এর বাধ্যবাধকতা আছে, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, একটা আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমাকে জানালে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।