খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 8868 বার
সানজিদা আক্তার সান্তনা : যশোর-১(শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন হলেন শার্শা উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা। আওয়ামীলীগ সরকারের গত ১৫ বছরে শার্শায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা এর আগে শার্শার জনগন চিন্তাই করতে পারেননি। শার্শায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে কৃষিতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে ।
১১টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে ভারত সীমান্তবর্তীতে গঠিত এ শার্শা উপজেলা। স্বাধীনতার পর থেকে এ উপজেলা ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলেও তৎকালিন সময়ে তেমন উন্নয়ন না ঘটলেও ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে শেখ আফিল উদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শার্শায় ব্যাপক উন্নয়ংন হয়েছে। ২০০৮ সালের পর থেকে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি এলাকায় যে চমক দেখিয়েছেন। যা স্বাধীনতার পরে এত উন্নয়ন হয়নি।
শার্শা উপজলার ৬০ভাগ সন্ধ্যা নামলেই ভুতুড়ে এলাকায় পরিতন হতাে। আজ এ অবহেলিত জনপথ সন্ধ্যা নামলেই বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত থাকে। যেখানে একসময় সন্ধ্যা নামলেই হারিকেন বা ল্যাম্প জ্বালিয়ে রাত্রি কাটাতে হতো।
অবহেলিত এ জনপদকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে দিয়েছেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। যা হাজারো সমালোচনার ভীড়ে স্বীকার করেন শার্শার বিরোধী নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত। শার্শার ৯০ভাগ পাকা করা হয়েছে। যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে এলাকার জনপদ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বহুতল বিশিষ্ট বিল্ডিং হওয়ায় শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড দেখে শার্শার জনগনের মাঝে দেখা দিয়েছে এক অনাবিল আনন্দ।
সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গড়ে তুলেছেন আধুনিক ও দৃষ্টিন্দন উপজেলা প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ডর্মেটরি নির্মাণ, আধুনিক ডাক বাংলো ও উপজেলা মৎস্য ভবন, উপজেলা নির্বাচন ভবন, বেনাপোলে মুেযাদ্ধা কমপ্লেক্স। নির্মাণ করেছেন উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়াম, বেনাপোল পোর্ট থানা ভবন, বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ভবন নির্মাণ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ। গত ১৫ বছরে তিনি এলাকার উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূূচি হাতে নেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো কৃষিখাত। খাল খননের মাধ্যমে শার্শা বৃহত্বর জলাসয় সােনামুখি বিল। যাহাতে সারা বছরভর পানি ভরা থাকতো। সেখানকার জমি এখন দো-ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হয়েছে। সেখান থেকে চাষিরা ফসল তুলে গোলা ভরছে।
আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোলে গড়ে তুলেছে মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৪টি পাকা বাড়ি নির্মান। ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ’র মাজার সংস্কারকরণ, ৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে জামতলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সংস্করণ, ৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাগজপুকুর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সংস্করণ, ৪তলা বিশিষ্ঠ শার্শা উপজেলা কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজ নির্মাণ ও সরকারিকরণ, পাকশি আইডিয়াল কলেজ, বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ, গোগা ইউনাইটেড কলেজ, নাভারন ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ, লক্ষনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেরালখালী-পারুয়ার ঘোপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধান্যখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কায়বা-বাইকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সরকারিকরণ করেছেন শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া নির্মানাধীন আছে ৪তলা বিশিষ্ট সামটা মাদ্রাসা, বসতপুর মহিলা মাদ্রাসা, আমলাই মহিলা মাদ্রাসা ও টেংরা মহিলা মাদ্রাসা।
এছাড়া বেনাপোল পৌরসভা ১ম শ্রেনীতে উন্নীত করন করেছেন। নির্মাণ করেছেন বহুতল বিশিষ্ঠ শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন, বেনাপোল আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, আর্ন্তজাতিক বাস টার্মিনাল, বেনাপোল বাইপাস সড়ক, শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, বিদ্যুৎ, রাস্তা, ব্রিজ, কার্লভাট ইত্যাদি। নির্মানাধীন শার্শা উপজেলা বহুতল বিশিষ্ঠ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বেনাপোল বড় মসজিদ। সংস্কার করেছেন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক’শ মসজিদ। জমি আছে ঘর নেই এধরণের ৩৩৩ জনের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। জমি আছে ঘর নেই এমন ২৩টি পরিবারের মাঝে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দূর্যোগ সহনীয় ২৩ টি ঘর নির্মাণ করেন। যার প্রতিটি ঘর বাবদ ব্যয় হয় ২লক্ষ ৫১ হাজার ৫’শ ৩১ টাকা। এছাড়া মাতৃত্বকালিন ভাতা,স্বোমী পরিত্যাক্ত ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, স্বাস্থ্য ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদান, গরিবদের মাঝে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ ইত্যাদি। এছাড়া, উপজেলার প্রতিটি সড়ক পাকাকরণ ও কার্পেটিং করা হয়েছে। তার আমলে উপজেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করেন তিনি। উপজেলার প্রায় সকল বাজার ও সড়কে সৌর বিদ্যুৎ চালিত ল্যাম্প পোষ্ট স্থাপন করেন।
শার্শা সদর ইউপি সদস্য কবির উদ্দিন আহমদ তোতা বলেন, শার্শা উপজেলার অনেক উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। পূর্বে এখানকার অনেক গ্রামেই সন্ধ্যার সাথে সাথে মনে হতো ভূতুরে পল্লী। এখন প্রতিটি গ্রামই আলো ঝলমলে এবং গ্রামগুলো যেন শহর হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটগুলো শুকনা মৌসুমের সময় ধুলা আর র্বষার সময় কাঁদাময় বেহাল দশা ছিল। এখন প্রতিটি গ্রামেরই সংযোগ সড়কগুলো পর্যন্ত পাকা হয়েগেছে। যা কিছু হয়েছে তার সবকিছুই হয়েছে শেখ আফিল উদ্দিন এমপির দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।
এ বিষয়ে কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, শার্শায় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন যে উন্নয়ন করেছেন তা মুখে বলে বোঝানো যাবেনা। ২০০৯ সালের পুর্বে চিত্র ছিল কি রকম আর এমপি হওয়ার পর কি রকম উন্নয়ন হয়েছে তা না দেখলে বোঝা কষ্টকর।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু’র সাথে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। শার্শার মাটি ও মানুষের নেতা শেখ আফিল উদ্দিন তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার বহু পরে হলেও এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সুসংগঠিত নের্তৃত্বের কারনে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ১১টি চেয়ারম্যান এবং ১টি পৌরসভায় আওয়ামীলীগের মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। তিনি শার্শায় যে উন্নয়ন করেছেন এগুলো তারই বহিঃপ্রকাশ।