সাঈদ ইবনে হানিফ, বাঘারপাড়া (যশোর) : গত কয়েক দিন ধরে চলছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, যার প্রভাবে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলাসহ আশপাশের অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে ।

কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, শীতের এই বৃষ্টি কয়েকদিন ধরে চলার কারণে সরিষা,মসুড়ী ও সবজি জাতীয় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ শীতকালে কৃষকরা যে সব সবজির আবাদ করে থাকে সেগুলোর আকাশ বৃষ্টির সহনশীলতা একেবারে কম। একই অবস্থা সরিষা, মসুড়ী এবং মটরশুঁটি জাতীয় ফসলের। এ জাতীয় ফসল গুলোতে আকাশ বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে বেশি।

এবিষয়ে বাঘারপাড়া (উপসহকারী) কৃষি কর্মকর্তা মোঃ করিম খান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর তার এলাকায় বেশি সংখ্যাক জমিতে সরিষা, মসুড়ী, এবং মটরশুঁটির চাষ হয়েছে। পাশাপাশি শীতের সবজি ও চাষ করেছে অনেক কৃষক। তিনি বলেন, এমনিতেই শীত কালের বৃষ্টি সবজি ও সরিষা, মসুড়ীর জন্য একপ্রকার ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। এরপরও যদি সেই বৃষ্টি ৩/৪ দিন স্থায়ী হয় তবে তা হবে কৃষকের জন্য চিন্তার কারণ।

৮ ডিসেম্বর তিনি উপজেলার রাধানগর, ঘোষনগর, বাগডাঙ্গা, জামালপুর এলাকার মাঠ গুলো পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকদের সাথে কথা বলেছেন, উল্লেখ্য, আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিকজাউমের প্রভাবে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবের সাথে শুরু হয় বৃষ্টি। আর গত কয়েক দিনের এই বৃষ্টিতে অনেক ফসলের ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এতে সবজি জাতীয় ফসল এবং সরিষা, মসুড়ী, মটরশুঁটিসহ কৃষকের ফসলের মাঠ চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

ঘোষনগর গ্রামের এহিয়া মোল্লা জানায়, গত বছর তার এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ মন সরিষা হয়েছিল। এবছর ও সেই জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এতদিনে ভালো ফলনের আশা করেছিলাম, কিন্তু অসময়ের এই বৃষ্টিতে তার সরিষার ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাধানগর গ্রামের জিয়াউর রহমান বলেন, গত বছর তিনি সরিষা এবং মটরশুঁটিতে ভালো ফলন পেয়েছিলেন। এবছরে এক বিঘা জমিতে তার মটরশুঁটির চাষ রয়েছে কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফলনের আশা ছেড়ে দিয়েছি। বাগডাঙ্গা গ্রামের শরিফুল, লাভলু, ইকবাল কবির, সেলিম হোসেন, সোহরাব হোসেন, নারায়ণ অধিকারী, ব্রজেন বিশ্বাস বলেন, গত বছর ভালো ফলন হওয়ায় এবছর তারা সহ মাঠ জুড়ে মটরশুঁটি এবং সরিষা চাষ করেছে কিন্তু শীতের এই কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে গেছে, যে কারণে সবজি, সরিষা, মসুড়ী, মটরশুঁটির চাষিরা ক্ষতির মধ্যে পরবে বলে আশাঙ্কা ব্যাক্ত করেছে ।