বিল্লাল হোসেন,রাজগঞ্জ : শাহানুর রহমান (২২)। এইতো ক’মাস আগেই বুকভরা আসা নিয়ে, স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর কাজ পাই না, কাজ পাই না, এই ভাবে চলে যায় প্রায় ১ থেকে ২ মাস মতো। তারপর কাজ পেলো নির্মাণ সাইটে। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম ভাগ্যের পরিহাস তার বুকভরা স্বপ্ন আর পুরোন হলো না৷

নির্মাণ সাইটে কাজ করতে যেয়ে সেখান তার মৃত্যূর খবর শুনা যায়৷ ৷ এ খবর শুনা আত্রই বাড়িতে চলে স্বজনদের আহাজারি। সন্তানের মরদেহের জন্য অপেক্ষারত মা আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে আকাশ-বাতাস।

সরকারের কাছে তার মায়ের একটাই চাওয়া, লাশটা যেন দ্রুত আসে। জীবিত সন্তানকে না পেলেও মরদেহটা নিজেদের কাছে এনে কবরস্থ করতে চায় স্বজনহারা মানুষগুলো।

বুধবার (২২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর একটার দিকে দেশটির কূয়ালামপুর শহরে একটি দশতলা বিলডিংয়ে কাজ করার সময় অসাবধানতায় নিচে পড়ে নিহত হন শাহানুর।

শাহানুর স্থানীয় রাজগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো ও একটি ওষধের দোকানে জব করতো৷

এদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলল স্বজনের আহাজারি।

নিহতের চাচা জানিয়েছে, ভাগ্য বদলের আশায়, গত পাঁচ মাস আগে মালয়েশিয়ায় যায় এখন তার দেশে ফিরতে হচ্ছে লাশ হয়ে। মরদেহ দ্রুত ফেরত আনতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের নিহত শাহানুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকাবহ চিত্র। সন্তানের জন্য অঝোরে চোখের পানি ফেলছেন তার মা ৷ স্বজনেরা চান, সরকারি ব্যবস্থায় দ্রুত যেন মরদেহ দেশে আনা হয়।

আমার মানিকের সুখের জন্য তাকে বিদেশ পাটাইলাম, কখনো কষ্ট দেই নাই তার। এমনসব কথা বলে বিলাপ করছেন শাহানুরের মা আকলিমা বেগম।

তাদের আহাজারি থামাতে ঘরের মধ্যে ভিড় করছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। সবার চোখের কোনে জল। কেউ যেন তাদের বিলাপ আর কান্না থামাতে পারছেন না।

শাহানুরের অকাল মৃত্যু কেউ যেন মেনে নিতে পারছেনা গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে। নিহত শাহানুরের চাচা সিরাজুল ইসলাম জানান- আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।