০৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

দুদক কর্মকর্তা দেখে ঘুষের টাকা ডাস্টবিনে লুকালেন ভূমি কর্মকর্তা

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৮ মে দুপুরে দুদক খুলনার সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্রর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।

অভিযানে ভূমি কর দিতে আসা আব্দুস সাত্তার নামের এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় অফিস সহায়ক শমসের আলীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অফিস তল্লাশি করে ঘুষের টাকা একটি বাস্কেটের নিচে লুকানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী জানান, তার জমির সরকারি কর নির্ধারিত হয় ৪৬৫৭ টাকা, কিন্তু ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মুকিত ও শমসের আলী ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

ঘটনার পর অফিস সহায়ক শমসের আলীকে বরখাস্ত না করে শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুল মুকিতকে বদলি করে কালীগঞ্জে পাঠানো হলেও তিনি পুরনো অফিসে থেকেই ঘুষের টাকা তুলতে থাকেন।

দুদক জানায়, প্রমাণসহ রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হয়েছে এবং নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:২৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
১৭

দুদক কর্মকর্তা দেখে ঘুষের টাকা ডাস্টবিনে লুকালেন ভূমি কর্মকর্তা

আপডেট: ১১:২৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৮ মে দুপুরে দুদক খুলনার সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্রর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।

অভিযানে ভূমি কর দিতে আসা আব্দুস সাত্তার নামের এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় অফিস সহায়ক শমসের আলীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অফিস তল্লাশি করে ঘুষের টাকা একটি বাস্কেটের নিচে লুকানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী জানান, তার জমির সরকারি কর নির্ধারিত হয় ৪৬৫৭ টাকা, কিন্তু ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মুকিত ও শমসের আলী ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

ঘটনার পর অফিস সহায়ক শমসের আলীকে বরখাস্ত না করে শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুল মুকিতকে বদলি করে কালীগঞ্জে পাঠানো হলেও তিনি পুরনো অফিসে থেকেই ঘুষের টাকা তুলতে থাকেন।

দুদক জানায়, প্রমাণসহ রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হয়েছে এবং নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।