রাজনীতি | তারিখঃ নভেম্বর ১০, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 15115 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বিএনপি নির্বাচনে আসবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচনে এসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াবে এবং নির্বাচনকে বিতর্কিত করবে। তারা নির্বাচনে অংশ নেবেই ষড়যন্ত্র ও নির্বাচনকে বানচাল করতে। তাই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী সংসদের বৈঠকে নেতাকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রথমে শেখ হাসিনা কিছু দিকনির্দেশনামূলক কথা বলেন। এরপর কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের বক্তব্য শোনেন।
এসময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা এমপিসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন অন্য নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিন বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে, তাই নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। কিন্তু সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ বিএনপি নির্বাচনে আসবে যেমন সত্য, তেমনি তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করবে, অপপ্রচার ছড়াবে। এমনকি তাদের নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে গিয়ে চোখের সামনে নৌকায় সিল মেরে ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের অংশ নেবে। আমার কাছে খবর আছে। তবে তারা নির্বাচনে জয় লাভের জন্য অংশ নেবে না। তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। এ ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে জয়লাভ করতে চায় না। তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।’
বিএনপি অবরোধ ও হরতালের নামে নাশকতা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিতে চায়। কিন্তু আমাদের কোনো নেতাকর্মী যেন আইন হাতে তুলে না নেয়। প্রশাসন আছে, তারা আইনিভাবে পদক্ষেপ নেবে। প্রশাসনকে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া আছে। কেউ যেন তাদের উসকানিতে পা না দেয়।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের সভাপতি বলেন, ‘সারাদেশের আটটি সাংগঠনিক বিভাগ রয়েছে। এখনো বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় কমিটিতে দ্বন্দ্ব চরম আকারে রয়েছে। সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে অনেক অনিয়ম রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা দ্বন্দ্বগুলো মেটাতে পারেননি। এটা তাদের ব্যর্থতা। তারপরও সামনে নির্বাচন। তাই এখন দ্বন্দ্ব আর বাড়ানো যাবে না। এখন কোনো কমিটি দেওয়ার দরকার নেই। বরং যেখানে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেগুলো মিটিয়ে ফেলতে হবে। ছাত্রলীগ কমিটি দিতে চেয়েছিল। আমি না করে দিয়েছি। কারণ নির্বাচনের আগে কমিটি দিলে কেউ কেউ মন খারাপ করতে পারে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা সবাই ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’