নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ৭ই নভেম্বর। এই দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি।

প্রতি বছর দিবসটি উপলক্ষে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজপথে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আজ ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে দলীয় আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মনুষ্যহীন ভয়ঙ্কর এক পরিবেশের মধ্যে বাস করছে আজকে গণতন্ত্রকামী মানুষ, জাতীয়তাবাদী শক্তি। সরকারের নিষ্ঠুর নির্দয় নিপীড়ন ও সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের কারণে আমাদের ৭ই নভেম্বরের কর্মসূচি স্থগিত থাকছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার যে কর্মসূচি সেই কর্মসূচি স্থগিত থাকছে।

রিজভী বলেন, দেশের জনতা এবং সিপাহীরা একত্রিত হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটানোর দৃঢ় অঙ্গীকার এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্য তাঁবেদার পররাষ্ট্রনীতিতে থেকে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে প্রত্যাবর্তনের জন্য এক দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে সেদিন একটি বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়েছিল। সেই বিপ্লবের নেতৃত্বে জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশ ও উৎপাদন-উন্নয়নের এক মহান রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি সেদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ও জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন এবং উদ্ভাসিত হয়ে একের পর এক বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা যে গণতন্ত্র ’৭৫ সালে আওয়ামী সরকারের হাতে হত্যা হয়েছিল, নিহত হয়েছিল। সকল দল, সকল সংবাদপত্র, সমস্ত কিছুকে বন্ধ করে দিয়ে একটি দল এবং সরকারের অনুগত চারটি সংবাদপত্র এবং কথা বলার স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। সেই বাকশাল থেকে উত্তরণের পথ তৈরি হয়েছিল ৭ই নভেম্বরের সেই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে। প্রতি বছর সারা দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এবং জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিশ্বাসী মানুষ এই দিবসটি পালন করে আসছে।