খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ নভেম্বর ২, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2665 বার
মনিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি॥ মনিরামপুরে সরকারি ৫৫৫ বস্তা চাল পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত করে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে ভাগ্নে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের তিন বছর পার হলেও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। ফলে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্দীপ ঘোষ হাইকোর্টে রিট করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের যৌথ বেঞ্চে শুনানি শেষে মঙ্গলবার উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে স্বপদে (ভাইস চেয়ারম্যান) বহাল থেকে দায়িত্ব পালন কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, যশোরের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শরিফ আহমেদ।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশ মনিরামপুর পৌর শহরের বিজয়রামপুরে ভাই ভাই রাইস মিল অ্যান্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে সরকারি কাবিখার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ৫৫৫ বস্তা চাল জব্দ করে। এ সময় আটক করা হয় চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদারকে। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে ভাগ্নে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পরে যশোরের ডিবি পুলিশের ওসি সোমেন দাশ ১ অক্টোবর ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট(অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চার্জশিটে উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন, পৌর শহরের ভাই ভাই রাইস মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ট্রাকচালক ফরিদ হাওলাদার, চাল পাচার সিন্ডিকেট নেতা পৌর শহরের তাহেরপুর এলাকার শহিদুল ইসলাম, সিন্ডিকেটের প্রধান আদায়কারী পাতন-জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী জগদীস দাস, পৌর কাউন্সিলর আবদুল কুদ্দুস। এরমধ্যে আব্দুলাহ আল মামুন, ফরিদ হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম, জগদীস দাস ও আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ত্রাণের সরকারি চাল ক্রয়-বিক্রয়ে সার্বিক সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তিতে ভাইস চেয়ারম্যানসহ সব আসামি আদালত থেকে জামিন পান। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে হাইকোর্টের রুল জারি সম্পর্কে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু জানান, তিনি এ ব্যাপারে আদালত থেকে কোনো আদেশ এখনও হাতে পাননি। তবে রুলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন।