যশোর অফিস ॥ যশোরে কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটলেও ফের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কথিত নাশকতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে ‘যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুরে নাশকতামূলক কর্মকা-ের পরিকল্পনার’ অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইকরামুল হুদা কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুজ্জমামান লিটন ও মহিলাদলের ৬ নেত্রীসহ ২৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়া সদর উপজেলা বাদে জেলার অন্যান্য স্থান থেকে আরও ৪১ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মঙ্গলবারসহ দুই দিনে মোট ৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, মহিলাদলের ওই ৬ নেত্রীকে মঙ্গলবার সকালে শহরের মুড়লি মোড় থেকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নুরুজ্জামান লিটনকে দুপুরে আদালত চত্বর থেকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
কথিত নাশকতার মামলায় আটক ২৬ জন হলেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, মহিলাদলের নেত্রী পাপিয়া খাতুন, শিল্পী খাতুন, রুবিনা খাতুন, মোছা. জাহানারা, মিনা বেগম, মোছা. শশি, সদর উপজেলার পাকদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মন্ডলগাতি গ্রামের মাসুদুর রহমান, শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ লিটন, বকচর হুশতলার আরমান হোসেন, গোপালপুর গ্রামের আরাফাত অনি, করচিয়া গ্রামের ইমামুল খন্দকার, আরবপুরের কোরবান আলী, নীলগঞ্জের আলমগীর হোসেন, সিরাজসিঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড় এলাকার আশরাফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, বেজপাড়ার আশরাফ হোসেন, দেয়াপাড়ার রফিকুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান, শংকরপুরের সিদ্দিকুর রহমান, শেখহাটি জামতলা এলাকার ইকবাল হোসেন, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের রুহুল কুদ্দুস মুকুল ও ডাকাতিয়া গ্রামের আইয়ুব হোসেন।

এছাড়া সোমবার ও মঙ্গলবার যশোর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এরা হলেন, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল বাশার শাহিন, বারান্দীপাড়ার হোসাইন, শুকুর আলী, ঝুমঝুমপুরের খলিলুর রহমান, শেখহাটির ইকবাল হোসেন, গোয়ালদাহ গ্রামের আজিবর রহমান ওরফে আজিজুল হক, বি-পতেঙ্গালী গ্রামের রফিকুল ইসলাম, খোলাডাঙ্গা উত্তরপাড়ার আমির হামজা বাবু ও বিজয়নগর গ্রামের মামুন আহম্মদ। এদেরকে কথিত নাশকতার পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটনের আইনজীবী মোস্তফা কামাল লিটন জানান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন মঙ্গলবার নাশকতার একটি মামলায় যশোরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বাইরে ওঁৎ পেতে থাকা ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন তাকে ধরে নিয়ে যান।

এদিকে সোমবার ও গতকাল যশোর সদর বাদে জেলার অন্যান্য স্থান থেকে আরও ৪১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদেরকে কথিত নাশকতার পেন্ডিং মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।