নিজস্ব প্রতিবেদক : অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র, সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শহীদবাগের ঢাকা ব্যাংক শাখা থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সময়ে আটক করা হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এক মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। এরপরই রাতে তাকে আটক করা হলো।

এদিকে আলালের ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহিদুর রহমান আলালের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মহাগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (যুগ্ম কমিশনার) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মির্জা আব্বাস ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দু’জনই পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়েছে। আরও অনেককে খুঁজছি আমরা।’

মির্জা আব্বাসের সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আজ সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।