০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানরোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি এপ্রিলে শত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন সীমান্তসহ অন্যান্য স্থান থেকে ১০১ কোটি ৩৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। বাড়ানো হয়েছে টহল। সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে বিজিবি ক্যাম্পগুলোর। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চৌকস অফিসারদের। বিজিবির টহল ও কঠোরতার কারণে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শূন্যের কোটায় নেমেছে। বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি সদর দফতর থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে।

শুক্রবার (৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এপ্রিল মাসে ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য পাচার ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ১৪৩, সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪০০ বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৪৬৪ মিয়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়। সূত্র মতে, এপ্রিলে বিভিন্ন সীমান্ত থেকে একটি জি-থ্রি রাইফেল, একটি এয়ার রাইফেল, একটি দেশি পিস্তল, একটি গাদা বন্দুক, ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১৮টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ৫টি পিকআপ, একটি ট্রলি, ৬টি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার, ২৯টি সিএনজি ও ইজি বাইক, ৫০টি মোটরসাইকেল ও ১৯টি সাইকেল আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ৮৩৪ গ্রাম হেরোইন, ১ কেজি ৬১৫ গ্রাম কোকেন, ৮ হাজার ১৫৩ বোতল ফেনসিডিল, ৮ বোতল এলএসডি, ১১ হাজার ৩৯১ বোতল বিদেশী মদ, ৮৭লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৫০ ক্যান বিয়ার, ১ কেজি ৩০৩ গ্রাম গাঁজা, ৩১ হাজার ৩০৭ পিস নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন, ৩ হাজার ৬২৯ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ পিস বিভিন্ন ধরণের ট্যাবলেট, যৌন উত্তেজক ৮৮ হাজার ৭৭৬ পিস এ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট।

সূত্র জানায়, এপ্রিলে জব্দ করা চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ১ কেজি ৪৭৮ গ্রাম সোনা, ২৫ কেজি ১২৫ গ্রাম রুপা, ৯০টি ডায়মন্ডের নাকফুল, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৮৩১টি গরু ও মহিষ, ৫০০টি মোবাইল সেট, ২ হাজার ৩১০টি মোবাইলের ডিসপ্লে, ৪ হাজার ৭৫ পিস শাড়ী, ২ হাজার ৩৪২ পিস থ্রি-পিস, শার্ট পিস, চাদর ও কম্বল, ৩ হাজার ৯৫১ পিস তৈরী পোশাক, ১ হাজার ৯৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১ পিস কসমেটিক, ২ হাজার ৩৫৫ পিস ইমিটেশন গহনা, ৪০ হাজার ২৫ পিস চশমা, ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ পিস আতশবাজি, ৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮ পিস চকোলেট, ২ হাজার ১৪১ কেজি কফি, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা-পাতা, ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৭ কেজি চিনি, ১ হাজার ১৫৪ কেজি জিরা, ১ হাজার ৬৪৯ কেজি ফল, ৩ হাজার ২১৮ কেজি ভোজ্য তেল, ১ হাজার ২২ কেজি পেঁয়াজ, ৩ হাজার ২৭২ কেজি রসুন, ৩৯ হাজার ৮৭৪ কেজি ফুচকা, ২ হাজার ৩১২ কেজি শুটকি মাছ, ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৯ পিস চিংড়ি মাছের পোনা, ৩৩ হাজার ৬৭ কেজি সুপারী, ৪ হাজার ৩৮৫ ঘনফুট কাঠ, ২৩ হাজার ১৫০ কেজি কয়লা, ৪৮ হাজার ১৫ কেজি সার এবং ৫২৫ কেজি সুতা ও কারেন্ট জাল।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩৭

মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানরোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি এপ্রিলে শত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

আপডেট: ১২:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন সীমান্তসহ অন্যান্য স্থান থেকে ১০১ কোটি ৩৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। বাড়ানো হয়েছে টহল। সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে বিজিবি ক্যাম্পগুলোর। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চৌকস অফিসারদের। বিজিবির টহল ও কঠোরতার কারণে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শূন্যের কোটায় নেমেছে। বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি সদর দফতর থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে।

শুক্রবার (৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এপ্রিল মাসে ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য পাচার ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ১৪৩, সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪০০ বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৪৬৪ মিয়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়। সূত্র মতে, এপ্রিলে বিভিন্ন সীমান্ত থেকে একটি জি-থ্রি রাইফেল, একটি এয়ার রাইফেল, একটি দেশি পিস্তল, একটি গাদা বন্দুক, ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১৮টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ৫টি পিকআপ, একটি ট্রলি, ৬টি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার, ২৯টি সিএনজি ও ইজি বাইক, ৫০টি মোটরসাইকেল ও ১৯টি সাইকেল আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ৮৩৪ গ্রাম হেরোইন, ১ কেজি ৬১৫ গ্রাম কোকেন, ৮ হাজার ১৫৩ বোতল ফেনসিডিল, ৮ বোতল এলএসডি, ১১ হাজার ৩৯১ বোতল বিদেশী মদ, ৮৭লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৫০ ক্যান বিয়ার, ১ কেজি ৩০৩ গ্রাম গাঁজা, ৩১ হাজার ৩০৭ পিস নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন, ৩ হাজার ৬২৯ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ পিস বিভিন্ন ধরণের ট্যাবলেট, যৌন উত্তেজক ৮৮ হাজার ৭৭৬ পিস এ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট।

সূত্র জানায়, এপ্রিলে জব্দ করা চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ১ কেজি ৪৭৮ গ্রাম সোনা, ২৫ কেজি ১২৫ গ্রাম রুপা, ৯০টি ডায়মন্ডের নাকফুল, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৮৩১টি গরু ও মহিষ, ৫০০টি মোবাইল সেট, ২ হাজার ৩১০টি মোবাইলের ডিসপ্লে, ৪ হাজার ৭৫ পিস শাড়ী, ২ হাজার ৩৪২ পিস থ্রি-পিস, শার্ট পিস, চাদর ও কম্বল, ৩ হাজার ৯৫১ পিস তৈরী পোশাক, ১ হাজার ৯৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১ পিস কসমেটিক, ২ হাজার ৩৫৫ পিস ইমিটেশন গহনা, ৪০ হাজার ২৫ পিস চশমা, ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ পিস আতশবাজি, ৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮ পিস চকোলেট, ২ হাজার ১৪১ কেজি কফি, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা-পাতা, ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৭ কেজি চিনি, ১ হাজার ১৫৪ কেজি জিরা, ১ হাজার ৬৪৯ কেজি ফল, ৩ হাজার ২১৮ কেজি ভোজ্য তেল, ১ হাজার ২২ কেজি পেঁয়াজ, ৩ হাজার ২৭২ কেজি রসুন, ৩৯ হাজার ৮৭৪ কেজি ফুচকা, ২ হাজার ৩১২ কেজি শুটকি মাছ, ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৯ পিস চিংড়ি মাছের পোনা, ৩৩ হাজার ৬৭ কেজি সুপারী, ৪ হাজার ৩৮৫ ঘনফুট কাঠ, ২৩ হাজার ১৫০ কেজি কয়লা, ৪৮ হাজার ১৫ কেজি সার এবং ৫২৫ কেজি সুতা ও কারেন্ট জাল।