পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র্যাব পুনর্গঠনে ৫ সদস্যের কমিটি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজকে প্রধান করে র্যাব পুনর্গঠনের ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৯ম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, সাধারণ অপারেশনে গেলে মারণাস্ত্র দরকার নেই এজন্য পুলিশ মরণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না, তাদের কাছে রাইফেল থাকবে। তবে মারণাস্ত্র থাকবে শুধু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের হাতে। কেননা তাদের কাজ কিন্তু অন্য পুলিশের থেকে একটু ভিন্ন।
এসময় তিনি জানান, আজকের সভায় র্যাব পুনর্গঠনের বিষয়ে বেশিরভাগ সময় আলোচনা হয়েছে। র্যাব কীভাবে পুনর্গঠন হবে, এই নাম থাকবে কিনা? এই পোশাক থাকবে কিনা? এই ফোর্স থাকবে কিনা? বা কীভাবে অর্গানাইজড হবে? এই জন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি। ৫ সদস্যের এই কমিটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজকে প্রধান করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সভায় ঈদের গরুর হাটের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। ঈদের সময় টাকা পয়সা ছিনতাই হয়, মলম ব্যবহার হয়। এজন্য প্রতি হাটে ভলেন্টিয়ারের পাশাপাশি ১০০ আনসার রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশকে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যেহেতু প্রচুর গবাদি পশু আছে। এজন্য বাইরে থেকে যেন গবাদি পশু না আসতে পারে এ ব্যবস্থা নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ৭-৮ মে ২০২ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ বিভিন্ন স্থানে পুশ ইন করে, যারা ২-৩ বছর অথবা ১৫-২০ বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। পরে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ ও এসবির মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া ৩৯ জন রোহিঙ্গাকে পাওয়া গেছে। তাদেরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।