খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ অক্টোবর ২৯, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3049 বার
সানজিদা আক্তার সান্তনা : যশোরের ৩ শহিদ সাংবাদিকের স্মরণে প্রেসক্লাব যশোরের ৩টি মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। রোববার শহিদ সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা এসব মিলনায়তনের নাম ফলকের উদ্বোধন করেন। মিলনায়তন তিনটি হলো, শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদ মিলনায়তন, শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুল মিলনায়তন ও শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল মিলনায়তন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দৈনিক রানারের সম্পাদক শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের স্ত্রী হাফিজা শিরিন, শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ভাই সাজেদ রহমান বকুল ও শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে দৈনিক রানারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আরএম কবিরুল আলম দিপু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের মা খায়রুন্নেছা সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।
শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ভাই সাজেদ রহমান বকুল বলেন, তিন সাংবাদিকদের নামে প্রেসক্লাব মিলনায়তনের নামকরণ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই উদ্যোগের ফলে তাদের সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবেন। তাদের নাম মানুষের মাঝে উচ্চারিত হবে নিয়মিত। তারা নতুন ভাবে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে দৈনিক রানারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আরএম কবিরুল আলম দিপু বলেন, তিন শহিদ সাংবাদিকের স্মরণে তিনটি মিলনায়তন করায় তাদের সম্মান জানানো হয়েছে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শহিদ সাংবাদিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের স্ত্রী হাফিজা শিরিন বলেন, শহিদ সাংবাদিকদের হত্যার বিচার হয়নি। নতুন করে তাদের স্মরণে এই মিলনায়তন করা হলো। নতুন প্রজন্ম তিন শহিদ সাংবাদিককে জানতে পারবেন। স্মরণের মধ্য দিয়েই তারা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান বলেন, নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিন শহিদ সাংবাদিক স্মরণে মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। এই মিলনায়তনগুলো আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, তিন শহিদ সাংবাদিকের স্মরণে মিলনায়তনের নামকরণ করা হলো। সেখানে তাদের অবদান ও পরিচিতি তুলে ধরা হবে। যাতে যে কেউ তাদের সম্পর্কে জানতে পারেন। তাদেরকে স্মরণের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রথিতযশা সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে জনকন্ঠ যশোর অফিসে কর্মরত অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। দীর্ঘ ২৩ বছরেও যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল হত্যাকাÐের বিচার হয়নি।
১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসায় যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। ২৫ বছরেও চিহ্নিত হয়নি যশোরের আলোচিত দৈনিক রানার পত্রিকার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের হত্যাকারী।
আর দুঃসাহসী লেখালেখির কারণে সাংবাদিক গোলাম মাজেদ স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৪ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন।