খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, ঝিনাইদহ | তারিখঃ অক্টোবর ১৬, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 933 বার
আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হাবিবুর রহমান রিপন (৪৩) নামের এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের আবাইপুর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর রহমান আবাইপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের মীনগ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের ছেলে। আহতরা হলেন, রাশিদুর রহমান রাসেল ও আমিনুর রহমান। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে স্থানীয় মীনগ্রাম বাজারে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নজরুল ইসলাম দুলালের একটি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে কে বা কারা। এই নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এবং নজরুল ইসলাম দুলালের স্থানীয় সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এবং রাতে কয়েক দফা বিরোধ মিমাংশায় শৈলকুপা থানায় বৈঠক হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তা অমিমাংশিত থাকে।
বৈঠক শেষে আব্দুল হাইয়ের সমর্থক আবাইপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য হাবিবুর রহমান রিপনসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আবাইপুর বাজার পার হলেই প্রতিপক্ষের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে তিনজন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হাবিবুর রহমান রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাঈম সিদ্দিকী জানান, নিহত ও আহতদের শরীরের মারধরের আঘাত রয়েছে। এছাড়া নিহত হাবিবুর রহমানের মাথায় বড় ধরনের আঘাত আছে। সম্ভবত ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, আমার সমর্থক হাবিবুর রহমানকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের শাস্তি দাবি করছি।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল জানান, আমি ঢাকাতে আছি, শুধু শুনেছি একজন মারা গেছে। তবে কি দিয়ে কি হয়েছে তা বলতে পারছিনা। গোলমাল হচ্ছে শুনে পুলিশকে ফোন দিয়েছি যেন লুটপাট না হয়। শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মণ জানান, এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আছেন।