রাজনীতি | তারিখঃ অক্টোবর ৭, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 16090 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতায় করা, ফাইল ঠেকিয়ে ঘুষ খাওয়ার মত দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে জিম্মি করে বিএনপিকে সরকার নির্বাচনে আনতে চায়। খালেদা জিয়া মারাত্মক অসুস্থ। সরকার সে সুযোগ নিতে চায়। কিন্তু আমরা আপোষহীন নেত্রীর দল করি। সরকারের পতন ছাড়া আর কোনো আপোষ নেই।
৭ অক্টোবর, শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাম বলেন, এ সরকার সন্ত্রাসী ও ডাকু। সিনেমার মত গুম খুন ও অপহরণে পারদর্শী তারা। শুধু তাই নয়, সিনেমার ভিলেনের মত অন্যের সংসারে আগুন ধরাতে, নিজেরা অন্যায় করে অপরের উপর দায় চাপাতেও পারদর্শী এই সরকার। আজকে এ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে ভিলেনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এসব ভিলেনদের শেষ পরিণতি কিন্তু ভালো হয় না।
সভায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, এ সরকারকে উৎখাত করতে অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর বুঝি না। আন্দোলনে আছি এবং থাকবো। পারলে কালকেই আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ঘটাবো। আজকে বন্দি খালেদা জিয়া, বন্দি দেশের গণতন্ত্র। গণতন্ত্র মুক্ত হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। আর খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে গণতন্ত্র মুক্ত পাবে। কারণ, গণতন্ত্রের আরেক নাম দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ বলেন, এ সরকারের কোনো লাজলজ্জা নেই। ভোট চোর এবং লুটপাটের কারণে দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিলে সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরে এসে এখনও দাম্ভিকতা দেখাচ্ছে। এরা কতটুকু নির্লজ্জ হলে এরা আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতা যেতে চায়। এবার দেশের মানুষ এই আওয়ামী লীগকে স্যাংশন দিবে।
সভায় ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম মহাসচিব ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, মোহাম্মদ মোহন, এসকে সিকান্দার কাদির, মনির চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, পূর্ব ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল-আমীন, মহানগর প্রচার সেলের আহবায়ক ও মহানগর সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।