আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের মন্ত্রিপরিষদের কোন সদস্য প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব গেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির পর্যটন মন্ত্রী হাইম কাটজ জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক একটি সম্মেলনে যোগ দিতে রিয়াদে যান। তিনিই প্রথম ইসরায়েলি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য যিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে সৌদি আরব সফর করছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবেই এই সফর। খবর আল জাজিরা।

কাটজ বলেন, পর্যটন হলো জাতিরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি সেতু। পর্যটনের ক্ষেত্রে এমন সহযোগিতা হৃদয়কে একত্রিত ও অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধিতে বলিষ্ট করতে পারে। আমি ইসরায়েলের পর্যটন ও বৈদেশিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করবো।

প্রতিনিয়তই সৌদি আরব ও ইসরায়েল পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। ২০ সেপ্টেম্বর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন মন্তব্য ফের মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে দুটি অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের ভবিষ্যত সম্পর্ক কেমন হতে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে নতুন এই মেরুকরণ এই অঞ্চলের আরেক শক্তিধর দেশ ইরানের কূটনীতিতে কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে মোড়ল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বিগত কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনা চালাচ্ছে রিয়াদ ও তেল আবিব।

ওয়াশিংটন এরই মধ্যে পরিষ্কার করে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইসরায়েল তাদের দুই প্রধান মিত্র এবং তাদের মধ্যকার মৈত্রী ওয়াশিংটনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আরেক ধাপ এগিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থেই’ এ দুই দেশের মৈত্রী তাদের কাছে ভীষণ জরুরি। আল জাজিরার বিশ্লেষণ।

দেশদুটি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি এমন সময়ে সামনে এসেছে, যার মাত্র কয়েক মাস আগেই রিয়াদ দীর্ঘ সময়ের বৈরী ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন,

‘আমরা কোন পথে যাচ্ছি তা বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে আমরা আশা করি এটি আমাদের এমন একটি জায়গায় পৌঁছে দেবে, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করবে এবং ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি হিসেবে স্বীকার করে নেবে।’