শিক্ষকদের ফাঁকিবাজি বন্ধে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক হাজিরা
গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : ছুটি নেওয়া বা অনুমোদন ছাড়াই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক সময় অনুপস্থিত থাকেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। স্কুল-কলেজের চেয়ে মাদরাসায় এ প্রবণতা বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এবার মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুমোদন ছাড়াই অনুপস্থিতি বা ফাঁকিবাজি ঠেকাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হাজিরা চালুর নির্দেশনা দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী—আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সব মাদরাসায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে।
এরপর বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থাপনা পাওয়া না গেলে এবং কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে অননুমোদিত অনুপস্থিতি পাওয়া গেলে সেই প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (৭ এপ্রিল) এ নির্দেশনা জানিয়ে সব মাদরাসার প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার এ তথ্য তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন মাদরাসাগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয় ও কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে অধ্যক্ষ-সুপারদের জানাতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নির্দেশিত সময়ের পরে মাদরাসাগুলোতে বোর্ডের কর্মকর্তারা আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরার যথাযথ ব্যবস্থাপনা পাওয়া না গেলে এবং কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে অননুমোদিত অনুপস্থিত পাওয়া গেলে সেই প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের আলিয়া মাদরাসাগুলোর তথ্য সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ শিক্ষাতত্ত্ব ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)।
এ সংস্থাটির ২০২৩ সালের জরিপ অনুযায়ী— বর্তমানে দেশে মোট মাদরাসার সংখ্যা ৯ হাজার ২৫৬টি। মাদরাসায় ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৬২৬ জন, যা দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ