আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরনিাকুন্ডুতে মা ও শিশু সহায়তা ভাতার অনলাইন আবেদনে অতিরিক্তি টাকা আদায়ের অভিযোগে দৌলতপুর ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটশি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা দৌলতপুর ইউনয়িন পরিষদে তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে চেয়ারম্যান আবুল কালামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

জানা গেছে দৌলতপুর ইউনয়িন পরিষদে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘মা ও শিশু সহায়তা’ (মাতৃত্বকালীন ভাতা) কার্ডের অনলাইন আবদনে সরকার নির্ধারিতি ফি ৪০ টাকার পরির্বতে জনপ্রতি অতিরিক্ত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে ওই ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ইস্রাফিল হুসাইন এ টাকা আদায় করেন বলে উপকারভোগীরা অভিযোগ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে খবরের সত্যতা যাচাইয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দৌলতপুর ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই, তিনি এখনো কোন নোটিশ পাননি।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা মহিলা বিষয়ক র্কমর্কতা মুন্সি ফিরোজা খাতুন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থেকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা জানান, দৌলতপুর ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক ভুক্তভোগী। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দওেয়া হয়েছে।