আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সহিংসতা এবং ধর্ষণ ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে দেশটির ২৬টি বিরোধী দল নিয়ে সম্প্রতি গঠিত ‘ইন্ডিয়া’ জোট।

বুধবার সকালে কংগ্রেস সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ বিরোধী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে লোকসভার স্পিকারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। কংগ্রেসের পাশাপাশি বিআরএস সংসদ সদস্য নম নাগেশ্বর রাও এই মর্মে নোটিশ দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামাফিক বুধবার বাদল অধিবেশনের পঞ্চম দিনের শুরুতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়।

প্রথমে এই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি ৫০ জন বিরোধী সাংসদের সমর্থন না থাকলে প্রস্তাব গৃহীত হবে না বলে জানান। পরে স্পিকার সেই প্রস্তাবে সায় দেন। এখন এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক কবে হবে, সেই তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করবেন স্পিকার ওম বিড়লা।

ইন্ডিয়া জোট জানিয়েছে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ৫০ জন সংসদ সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। লোকসভায় খুব শীঘ্রই তিনি জানিয়ে দেবেন, কবে কখন এই মর্মে ভোটাভুটি হবে। নির্ধারণ করে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হবে সংসদে।

এদিকে বাদল অধিবেশনের পঞ্চম দিনে সকাল থেকেই মণিপুর ইস্যুতে দফায় দফায় উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। একাধিকবার মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন। ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের দাবি, মণিপুর ইস্যুতে নীরবতা ভাঙুন প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেই এই অনাস্থা প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত।

কংগ্রেসের পাশাপাশি বিআরএস সাংসদ নম নাগেশ্বর রাও অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে নোটিশ দিয়েছেন। সংসদে তাঁদের নয়জন সাংসদ রয়েছে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন বিরোধী সাংসদরা? জবাবে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝাঁ বলেন, ‘আমরা জানি সংসদে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নই। তবে গণতন্ত্রে সংখ্যাটাই বড় কথা নয়। মণিপুর অশান্ত। সেখানকার মানুষ অপেক্ষা করছেন, কবে প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে বিবৃতি দেবেন। হয়তো এই অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে তিনি নীরবতা ভাঙতে পারেন। সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হবে।’

পালটা জবাব এসেছে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকেও। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, ‘অনাস্থা প্রস্তাব জমা হতে দিন। সরকারের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমরাও মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা চাই।’