আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছে ব্যবসায়ীরা।

বুধবার সকাল থেকে জেলা শহরের সবচেয়ে বড় বাজার নতুন হাটখোলার ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচী পালন করছে। এতে বিপাকে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক ও জেলা ঔষধ তত্বাবধায়ক সিরাজুম মুনিরা নতুন হাটখোলায় অভিযান চালায়। দুটি দোকানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। সেসময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা বিচারকদের অবরুদ্ধ করে। পরে পুলিশ এলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। এ ঘটনায় রাতে ঔষধ তত্বাবধায়ক সিরাজুম মুনিরা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮০/৯০ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সকাল থেকেই ধর্মঘট পালন করছে ব্যবসায়ীরা। আর এতে চরম বিপাকে পড়েছে বাজার করতে আসা সব শ্রেণীর মানুষ।

শহরের আদর্শপাড়া এলাকার বাসিন্দা বশির উদ্দীন জানান, বাসায় অতিথি এসেছে। এখন বাজার করতে এসে কিছুই তো পেলাম না। সব দোকান বন্ধ। কেজি কলেজ পাড়ার হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের ম্যাচে ৩৫ জন ছাত্র থাকি। এখন বাজারে এলাম কেনা-কাটা করব বলে। কিন্তু সব দোকান তো বন্ধ। এখন বাজার করতে না পারলে তো সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।

নতুন হাটখোলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিনা কারণে ব্যবসায়ীদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তাই ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার এড়াতে বাজারে আসেনি। ডিসি স্যারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি এ সমস্যার সমাধান করলে ব্যবসায়ীরা আবারো দোকান খুলবে। এ ব্যাপারে মামলার বাদি জেলা ঔষধ তত্বাবধায়ক সিরাজুম মুনিরার সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

অভিযোগ উঠেছে, ঠুনকো বিষয়ে প্রায় সময় ভোক্তা বা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজারে অভিযান চালিয়ে দরিদ্র ব্যবসায়ীদের জরিমানা আদায় করে থাকেন। এতে সাধারণ ব্যাবসায়ীরা নাখোশ।