সারাবিশ্ব | তারিখঃ জুলাই ১৭, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3900 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে স্বাক্ষরিত কৃষ্ণসাগরীয় শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। প্রায় এক বছর আগে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মেয়াদ বেশ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে এবং সোমবার শেষ হতে চলেছে এটির মেয়াদ।
রাশিয়া এখনো এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি না হওয়ায় এর ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আর এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ছেড়ে গেছে শস্যবাহী শেষ জাহাজটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার শেষ হতে চলেছে কৃষ্ণসাগর চুক্তির সময়সীমা। ইতোমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে শস্য চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছেড়ে গেছে শস্যবাহী সর্বশেষ জাহাজটি।
ডেটা সাইট মেরিনট্র্যাফিক বলছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে স্থানীয় সময় রোববার সকালে শস্য নিয়ে বন্দর ছেড়ে যায় জাহাজটি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সও এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, টিকিউ স্যামসান নামের শস্যবাহী জাহাজটি রোববার ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে।
বিবিসি বলছে, রাশিয়া তার নিজস্ব শস্য ও সারের চাহিদা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়নি। মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আশঙ্কার মধ্যে ২০২২ সালের জুলাই মাসে চুক্তিটি করা হয়েছিল।
বিশ্বের শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়ই রয়েছে।
মেরিন ট্র্যাফিক বলেছে, তুরস্কের পতাকাবাহী ওই জাহাজটি স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টার পরপরই ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছেড়ে তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলের দিকে যাত্রা করে। ইউক্রেন অবশ্য এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে গত শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, মস্কোর নিজস্ব খাদ্য রপ্তানি এবং অন্যান্য প্রধান কিছু বিষয়ের প্রতিবন্ধকতা দূর করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। তার এই মন্তব্য এই ইঙ্গিত দেয় যে, শস্য চুক্তিতে মস্কো তার অংশগ্রহণ স্থগিত করতে পারে।
এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সাথে ফোন কলে পুতিন বলেন, ‘এই চুক্তির মূল লক্ষ্য আফ্রিকা মহাদেশসহ প্রয়োজনীয় অন্য দেশগুলোতে শস্য সরবরাহ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।’
এর আগে গত জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মস্কো আর এই শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি নয় বলে জানিয়েছিলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ।