আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সাহসী সাংবাদিক মানবজমিন ও একাত্তর টিভির প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদে শনিবার ঝিনাইদহের সকল সাংবাদিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের আয়োজনে ঝিনাইদহ রিপোটার্স ইউনিট, প্রেস ইউনিটি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ এসব কর্মসুচিতে অংশ গ্রহনে করেন। দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে ঝিনাইদহে কর্মরত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সমবেত হতে থাকে। এরপর সাংবাদিকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচিতে মিলিত হয়। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি এম রায়হানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালবেলা পত্রিকার ব্যুরো প্রধান মাহমুদ হাসান টিপু, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকের বিমল কুমার সাহা, দৈনিক নবিচিত্র পত্রিকার বার্তা প্রধান আসিফ কাজল, বাংলাভিশনের আসিফ ইকবাল মাখন, আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি কে এম সালেহ, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আরটিভি প্রতিনিধি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তর টিভির রাজিব হাসান, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামিমুল ইসলাম শামীম, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন, প্রেস ইউনিটির শহিদুল এনাম পল্লব, রিপোর্টার ইউনিটির এস এম রবি ও বিহঙ্গ সাংস্কৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠা শাহিনুর আলম লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কর্মসুচতে শাতাধীক সাংবাদিক ঘন্টাব্যাপী ঝিনাইদহ পোষ্ট অফিস মোড়ে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে কোন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। বরং সাংবাদিকরা যতদিন রাজপথে থাকে ততদিন প্রশাসন সরব থাকে। সাংবাদিকরা নীরব হলে প্রশাসনও তৎপরতায় নীরব হয়ে যায়। ফলে জামালপুরের সাহসী সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার কুশিলবরা গ্রেফতার হলেও তাদের বিচার হবে কিনা সন্দেহ আছে। দেশে সাগর রুনি হত্যার বিচার হয়নি, খুলনার একাধিক সাংবাদিক হত্যার বিচার ঝুলে আছে ও যশোরর সাংবাদিক ছামসুর রহমান কেবল হত্যার বিচার হয়নি উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচারহীনতা দেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটছে। সাংবাদিক সমাজ হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার না হলে কলমের পাশাপাশি এবার লাঠি হাতে নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে সাংবাদিকরা।