ভালুকা( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধ।। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় গ্রাম পুলিশ ও সাবেক মেম্বারের সহায়তায় এক বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে বাল্য বিয়ের ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেখানে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় কিভাবে একটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে?

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের চামিয়াদী গ্রামের শুক্কুর মাহমুদ এর ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ুয়া ছাত্রী স্বর্না আক্তারের (১৩)সঙ্গে একই ইউনিয়নের বনগাও গ্রামের আলমগীরের ছেলে কাওসার (১৬) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়। এলাকাবাসীর বাঁধার মুখেও গ্রাম পুলিশ মফিজ উদ্দিন এবং সাবেক মেম্বার নুর উদ্দিনের নেতৃত্বে বাল্য বিয়ে করানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ছেলের পরিবারের লোকজন বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও গ্রাম পুলিশ মফিজ উদ্দিনের মুঠোফোনে দেওয়া বক্তব্য এটা স্পষ্ট উঠে এসেছে। উপজেলায় এমন আরও শত ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় বাল্যবিবাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। এ লক্ষ্যে আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিন হতে ময়মনসিংহ বিভাগকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। সম্প্রতি ময়মনসিংহের নান্দাইল, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জসহ জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় বাল্যবিবাহের ব্যাপক প্রবণতা দেখা দেয় এবং এগুলোর অধিকাংশই স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সহায়তায় রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এরপরও অনেক স্থানে চুপিসারে কিছু বাল্যবিবাহের ঘটনা এখনো ঘটে চলেছে। তাই বিভাগীয় প্রশাসন এখন থেকে কঠোর ভূমিকায় মাঠে নামতে যাচ্ছে। এত কঠোর অবস্থানে থাকার পরও দিন দিন এর প্রবনতা বেড়েই চলেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ বিষয়ে

উথুরা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এবিষয়ে দু’পক্ষকেই নিষেধ করে দিয়েছি এটা সম্ভব নয়। পরে কি করেছে আমার জানা নেই।