গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে নগরমাতা হলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলেমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে আজমত উল্লা খান (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট ও জায়েদা খাতুন (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পড়ে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সবমিলিয়ে ৩৩১ জন ছিলেন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়সাল আহমেদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।

নির্বাচনে ১০ হাজার ৯৭০ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ছিলেন ৬৯৯৪ জন।