আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সুদখোর রফি। ঝিনাইদহের এক অত্যাচারি আলোচিত নাম। এলাকাবাসি বিচারের আশায় অভিযোগ করেছিলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে।

অভিযোগের পেক্ষিতে জেলা সমবায় অফিস তদন্ত করে সত্যতা পান। কিন্তু কিছুই হয়নি। বীরদর্পে মহাজনী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন রফি। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ আর অসন্তোষ ধুমায়িত হচ্ছে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের বিষয়খালি বাজারে রান ক্ষুদ্র ঋণদান ও সমবায় সমিতি অবধৈভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ব্যাংকের ফাঁকা চেক নিয়ে ঋণের ময়োদ শেষ হবার আগেই গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করে আসছিলেন। এর আগে প্রায় শতাধিক ভুক্তভুগী পরিবার লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে জেলা সমবায় অফিস গনশুনানীর আয়োজন করা হয়। উক্ত শুনানিতে ভুক্তভুগী পরিবার তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়রানীর কথা তুলে ধরে লিখিত জবান বন্দী দেন। শুনানীর দিন রফির ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে উপস্থিত অভিযোগকারীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে পরে ডিবির একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনে। এর আগে শুনানীর আগের রাতে ২ জন অভিযোগকারীর বাড়ি গিয়ে নগদ অর্থ দিয়ে এবং সুদ মওকুফের কথা বলে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে সমবায় অফিসারদের জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে আসে রফির লাঠিয়াল বাহিনী। এর আগে রান ক্ষুদ্রঋণ ও সমবায় সমিতির মালিক রফির বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাতে খবর প্রচার হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রফির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় ভুক্তভুগী পরিবার গুলো শংকায় দিন পার করছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে অভিযোগকারীদের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে রফি ও তার লোকজন।

অভিযোগে প্রকাশ, নলডাঙ্গা ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের আক্তরুজ্জামান চাষের জন্য রফির কাছ থেকে ঋণ নেয়। ঋনের ৫০ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে এক লাখ ৮৪ হাজার টাকা সুদসহ ফেরৎ দিলে রফি সুদ না পেয়ে রান সমিতির অফিসে ডেকে মারধর করে। পরে লজ্জায় মুখ দেখোতে না পরে বিষপানে আত্যহত্যা করে আক্তারুজ্জামান। কালিগঞ্জ চাপালিয়া গ্রামের স্বপন ঘোষ সুদের টাকা দিতে না পারায় পৈতৃক সম্পাত্তির পাওয়ার অব এ্যার্টানী করে দখল করে নেয়। যার কারনে হার্ট এ্যাটাকে স্বপ্ন ঘোষ মারা যায়। ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরের বাসীন্দা স্বপ্না খাতুন স্বামীর ব্যাবসার জন্য রফির কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঋন গ্রহন করেন। পরিশোধের মেয়াদ ছিল এক বছর। কিন্তু রফি তার আগেই ৫ মাসের মাথায় মামলা করে বসে। সুদখোর রফি যেদিন স্বপ্না খাতুনের নামে মমলা করেন সেদিনেও তার কাছ থেকে ঋনের কিস্তি গ্রহন করেন। এভাবে প্রায় দেড় শত নিম্ন আয়ের পরিবারকে ঋণের ফাঁদে ফেলে রফি মামলার জালে আটকে নিত্যদিন অত্যাচার নির্যাতন করে গেলেও বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে। সুদখোর রফির অত্যাচারে এ সকল পরিবার এখন অজানা আতংকে দিন পার করছে।

বিষয়টি নিয়ে কেসমত গড়িয়ালা গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফির বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঋন নিয়ে তার বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবী করেন ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে তিনি সমবায় সমিতি চালাচ্ছেন। আইন মেনেই সব কিছু করা হচ্ছে।