আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানী উপলক্ষ্যে অভিযোগের পাহাড় জমা পড়েছে।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, ব্যাক্তি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও এনজিও’র বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য জমা পেড়েছে বলে জানা গেছে। মানুষ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, প্রতিকার ও ন্যায় বিচার পেতে গোপনে গোপনে অভিযোগ জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থাপিত বুথে।

আশরাফ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তার ছেলে একটি এনজিওতে চাকরী করতেন। জামানতসহ মুল কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা ও মুল কাগজ ফেরৎ দিচ্ছে না। নানা অজুহাতে ২০ হাজার টাকা কেটে নিয়েছে। বিষয়খালী এলাকার শামীম জানান, তার এলাকায় ‘রান’ নামে একটি ঋনদান সমবায় সমিতি মানুষের কাছ থেকে চড়া হারে সুদ আদায় করছে। ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়েও রেহাই মিলছে না। ঋন গ্রহনের সময় ব্যাঙ্ক চেক ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিচ্ছে। অফিসে নিয়ে মানুষকে মারপিট করছে। অনেকই আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে। এলাকাবাসি এই সুদখোরের বিচার দাবী করেন। ঝিনাইদহের সিও নামে একটি এনজিও এমন অনৈক কাজ করছে বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার নাসির নামে এক যুবক অভিযোগ করেন, তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ অফিসে যাবতীয় পরীক্ষা দেন। সব পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও মোবাইলে ম্যাসেজ আসে ফেল। ঘুষের টাকা না দেওয়ায় তাকে ফেল করানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন অফিসে ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে শত শত অভিযোগ জমা পেড়েছে।

এদিকে এই গণশুনানী নিয়ে উৎসুক মানুষের জিজ্ঞাসার অন্ত নেই। এই গণশুনানীর পর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলা না হলে আয়োজন বৃথা যাবে বলে অনেকেই মনে করেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, শত শত মানুষের মধ্যে একজন সরকারী কর্মকর্তা অপরাধী সেজে দাড়িয়ে থাকায় বা কম কিসের?

উল্লেখ্য আজ বুধবার ঝিনাইদহ শহরের শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্থার কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। তিনি এক সময় ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।