বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ ব্যক্তির নামে দ্রত বিচার আইনে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমেনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ ময়মনসিংহ সিআর আদালতে ওই মামলাটি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১ নম্বর উথুরা ইউনিয়নের মরচী গ্রামের একাব্বর আলী। মরচী মৌজায় ৫৩৮নং দাগে ১৬ শতাংশ জমি ৫৭১ নং দলিলে ২৫/০১/১৯৭৩ ইং সালে মরচী মধ্য পাড়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া ও দাখিল মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দেন। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষকরা সঠিক ভাবে বেতন না পাওয়ায় শিক্ষকরা অন্যত্র চলে যায়। পরে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে একাব্বর আলীর দানকৃত জমিটুকু মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সম্মিলিত হয়ে রেজুলেশনকৃত সিদ্ধান্ত মুত্তাভেক আব্দুল মান্নান এর কাছে বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে আব্দুল মান্নানের বিআরএস ১০৯/১ খতিয়ানে ১৮০১ দাগে ১৭ শতাংশ জমি রের্কডভূক্ত হয়। আব্দুল মান্নান ভোগ দখল থাকা অবস্থায় ওই জমিটুকু বেদখল করার পায়তারা করে। ওই ঘটনায় আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে একাব্বর আলী গংদের বিরুদ্ধে উথুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ২৯/০৭/২০২২ সালে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিবগের উপস্থিতিতে সালিশে বসে। সালিশে একাব্বার আলীকে বিআরএস রেকর্ড সংশোধন করে ওই জমিতে যাওয়ার আহবান জানান। কিন্ত অন্যের রেকর্ডীয় দখল করে টিনের ছাপড়া করায় ওই টিনের ছাপড়াটি ভেঙে দেয় দূর্বৃত্তরা।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, তাকে সামজিকভাবে ক্ষতি করার জন্য একটা পক্ষের ইন্দনে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনায় আমেনা খাতুন বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নামে দ্রত বিচার আইনে মামলা (সিআর-১৩/২৩) করেন। মামলার অপরাপর আসামীরা হলেন, ইউপি সদস্য গোলাম মো: কিবরিয়া, মো: আব্দুল মান্নান, ছাইদুল ইসলাম, মো: আব্দুল হামিদ, মো: রুস্তম আলী, মো: ফাহাদ মিয়া, শেখ ফরিদ, আব্দুল হাকিম, মো: চাঁন মিয়া, মো: রুস্তম আলী, মো: আলামিন, মো: সিফাত মিয়া, মো: খোরশেদ আলম, হাবুল, আবুল কালাম, সোলাইমান, ঈশ্বর ও মো: আবুল হাশিমসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে। গত ১৩ মে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় মামলাটি সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক করা হয়েছে।