সন্দীপন চক্রবর্ত্তী, বোয়ালমারী প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর থেকে এখনো পুরোপুরি শীত যায়নি। দিনে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও রাতে থাকছে শীত। খানিকটা শীত আমেজের মধ্যেই বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। বিভিন্ন নামের আর দামের তরমুজে বাজার সেজে উঠেছে।বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছোট ও বড় আকারের তরমুজ। মৌসুমের শুরুর এ তরমুজ ক্রেতাদের আকর্ষণ করলেও দামের কারণে কিনতে গিয়ে ভাবতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফাল্গুন মাস শুরু হতে না হতেই মৌসুমি ফলের সমাহার সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।

এ বিষয়ে ফল বিক্রেতারা বলেন, গরম পড়তে শুরু করেছে, আর ফলও পাকতে শুরু করেছে। বাজারে যেমন ফল আসছে, তেমনি ক্রেতাও আছে। তবে দাম একেক জায়গায় একেক রকম।

তবে দাম যেমনই হোক মৌসুমের প্রথম দিকে ফলের স্বাদ নিতে পেরে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজারে এখন আনারস, বেল, পেঁপে , পেয়ারা, বড়ই, তরমুজ সবই পাওয়া যাচ্ছে। এসব ফলের দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক বেশি।

বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পাকা বেল ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, প্রতিকেজি পেয়ারা ৫০-৮০টাকা, প্রতি কেজি বড়াই ৫০ থেকে ১০০ টাকা, আকার ভেদে প্রতিটি পেপে ৫০ থেকে ১০০ টাকা,প্রতিকেজি সফেদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।

ফরিদপুরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে যে সব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তা আগাম জাতের তরমুজ। এসব তরমুজ বরিশাল এবং কুয়াকাটা থেকে আমদানি করা হয়েছে। বগুড়ায় আগামজাতের তরমুজ খুব কম চাষ হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালিন তরমুজ চাষ হয় বগুড়ায়। চাষিরা বেশিলাভের আশায় আগামজাতের তরমুজ চাষ করেছে। বগুড়ার বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ এসেছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের প্রথম তরমুজের এ চালান এসেছে বরিশাল থেকে। বরিশালের একেকটি তরমুজের ওজন ৬ থেকে ১০ কেজি। লাল টকটকে রঙের এ তরমুজের চাহিদা বেশি। ভোক্তারা এখন বরিশালের তরমুজই বেশি কিনছেন। বরিশালের তরমুজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ২৫০ টাকা ও ৮ থেকে শুরু করে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়।

তরমুজ কিনতে আসা কলেজ ছাত্র উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী বলেন, গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল তরমুজ। এটি শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তিদায়কই নয়, চিকিৎসকদের মতে তরমুজে সাইট্রুলিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন করে।

বোয়ালমারী উপজেলার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও ফল আড়ৎদার জানান,বোয়ালমারী বাজারে বিভিন্নজাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। জেলায় যে পরিমাণ আগামজাতের তরমুজ চাষ হয় তা দিয়ে ভোক্তা চাহিদা পূরণ হয় না। সে কারণে বাহিরের জেলা থেকে তরমুজ নিয়ে আসতে হয়। মৌসুমের আগেই ফরিদপুরের বাজারে যে সব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তা মিষ্টি।