কক্সবাজার প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুনে ইতিমধ্যে দুই হাজারের বেশি ঘড়বাড়ি পুড়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে ১১ নম্বর ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত ১০ ও ১২ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে ক্যাম্পে থেকে পালাতে থাকেন রোহিঙ্গারা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, বিকাল পৌনে ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ২৫ মিনিটের মধ্যেই সেখানে বাহিনীর প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর একে একে আরও নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আগুন লাগার পরপরই তা দ্রুত আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহায়তা চাওয়া হয়।’

এদিকে আগুনের বিষয়টি রহস্যজনক বলছেন রোহিঙ্গারা। তাদের ধারণা এটি ষড়যন্ত্রমূলকও হতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়ার ক্যাম্পের বাসিন্দা শফিক উল্লাহ বলেন, ‘আগুনে সব পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখানে দুই হাজারের মতো ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে বেশকিছু দোকানপাটও ছিল। এখানে বারবার আগুন লাগার পেছনে রহস্য রয়েছে। ফলে ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।’

এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালী এলাকার তিনটি (ক্যাম্প-৮, ৯ ও ১১) আশ্রয়শিবিরে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে ছাই হয়েছিল। গৃহহীন হয়েছিল ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যান ৬ শিশুসহ ১৫ জন রোহিঙ্গা।