সনতচক্রবর্ত্তী :ফরিদপুর জেলায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার কাতলাসুর গ্রামের কলেজ কলেজ ছাত্র রাকিবুল ইসলাম ২ বিঘা পতিত জমিতে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজ মেধা ও উদ্যোগে শুরু করেন, টক,কাশ্মেরী,বলসুন্দরী,ভারত সুন্দরী এছাড়া লেবু, পেয়ারা, পেপে চাষ করেছেন তিনি। বিভিন্ন জাতের বরই বাগান করে সফল হয়েছেন। তাঁকে দেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বেকার যুবক ছোট-বড় বরই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছেন। লাভজনক বরই চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশের পতিত ২বিঘা জমিতে দুই বছর আগে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে একটি বরই বাগান করি। এই বাগানে সব কিছু দিয়ে খরচ হয় ১ লক্ষ টাকা। ১ম বছরে এক লক্ষ টাকার বরই বিক্রি করি এবছর ১-২ লক্ষ টাকা বরই বিক্রি হবে বলে আশা করিস। আমার বাগানে টক, কাশ্মেরী, বলসুন্দরী, ভারত সুন্দরী এছাড়া লেবু, পেয়ারা, পেপে, আছে।

তিনি আরও বলেন, এই বছর বরই বাগানে বাম্পার ফলন পেয়েছি। এই বরই উপজেলার আলফাডাঙ্গা ও পাশ্ববর্তী জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছি। প্রতিদিন আলফাডাঙ্গাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ আমার বাগান পরিদর্শনে আসছেন। অনেকে বরই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

খান ওবায়দুর রহমান নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন, গোপালপুর ইউনিয়ন কাতলা সুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বরই চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তাই ভবিষ্যতে লাভজনক বরই চাষ বা বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। সে ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

মোঃ জুয়েন নামে এক যুবক বলেন, `বরই উচ্চমূল্যের ফসল। বাজারে এক কেজি বরই ৫০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কিন্তু ঢ্যাঁড়স, পটোল, শসা কিংবা অন্য সবজি উৎপাদন করে গড়ে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয় ওইসব সবজির চেয়ে প্রতিকেজি বরই আড়াই থেকে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করা যায়। তাই আমরা বরই চাষে ঝুঁকেছি।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিপন প্রসাদ সাহা বলেন, আমরা তরুণ, যুবক, ছাত্র দেরকে কৃষি কাজে উদ্ভুদ্ধ করছি। রাকিবুল ছাত্র হওয়ার পাশাপাশি কৃষি কাজে এগিয়ে এসেছে এজন্য তাকে ধন্যবাদ। আমরা রাকিবুলের বরই বাগানের দিকে লক্ষ রাখছি।প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিব।