সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুরের সদর ও সালথা উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে একই দিনে পৃথক দুটি ঘটনায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বাল্যবিয়ে দুটি বন্ধ করা হয়।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার বিল মাহমুদপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের এক মাদরাসাছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বর-কনের উভয়পক্ষের সম্মতিতে শুক্রবার দুপুরে বিয়ে সম্পন্ন করার দিন ঠিক হয়। সে অনুযারী কনেপক্ষ ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করেন।

খবর পেয়ে সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাহউদ্দীন আইয়ূবী হাজির হন বিয়েবাড়িতে। বাল্যবিয়ের আয়োজন করার অপরাধে তিনি বর ও কনের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাহউদ্দীন আইয়ূবী বলেন, ওই মাদরাসাছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। এসময় বাল্যবিয়ের অপরাধে কনের বাবাকে ৫০ হাজার ও বরের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

এদিকে একই দিন ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের আকুনের চরপাড়া গ্রামের ফরিদ সরদার তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ১৬ বছর বয়সী কন্যার বাল্যবিয়ের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন ঢালী বিয়েবাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

লিটন ঢালী বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি নম্বর ১০৯ থেকে বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে বন্ধ করা হয়। ঘটনাস্থলে মেয়ে বাবাকে আটক করা হলে তিনি তার দোষ স্বীকার করে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দেন