সনতচক্রবর্ত্তী: প্রতিবারের মতো এবার শীতেও পরিযায়ী পাখিদের কলরবে মুখরিত ফরিদপুরের পাট গবেষণা কেন্দ্রের মাঠ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি আর প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।

পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত পুরো এলাকা। পাখি প্রেমিকরা পাখিগুলোকে একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন দূরদূরান্ত থেকে।

পাট গবেষণা কেন্দ্রের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে পরিযায়ী পাখির দল। পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো এলাকা যেন এক পাখির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সারাদিন মাঠে থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই পুকুরপাড়ে গাছে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় খাবারের সন্ধানে পাট গবেষণা কেন্দ্রের মাঠের ফসলি জমিতে ভিড় জমায় তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ শেখ বলেন, শীতের শুরু থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অনেক পরিযায়ী পাখি আসছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য। আবার রাতে দিনে পাখি শিকারিরাও আসেন। আমরা তাদের বাঁধা দেই কারণ পরিযায়ী পাখিরা আমাদের এখানে আসে অতিথি হয়ে। ইউএনও পরিদর্শন করে গেছেন কয়েকবার। তিনি আমাদের দেখাশোনা করতে বলেছেন, যেন পাখি শিকারিরা পাখি শিকার করতে না পারে।

সালথা থেকে পাখি দেখতে আসা সুরভী পারভীন বলেন, শুধু পরিযায়ী পাখির নামই শুনেছি কিন্তু দেখা হয়নি। এখানে অতিথি পাখি আসছে শুনে দেখতে এসেছি। এখানে এসে মনটা ভরে গেলো।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, আমার অফিসের সামনেই পাট গবেষণা কেন্দ্রের মাঠে অসংখ্য পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটেছে। পরিযায়ী পাখিগুলো ছোট সরালি জাতের। কয়েক বছর ধরে এখানে শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখিরা আসে। আমি কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের পাখিগুলোর দেখভাল করতে বলা হয়েছে। পাখি শিকারিদের দেখলেই আমাকে খবর দেওয়ার কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থলে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য ওই এলাকার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছি।