শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধিঃ মাগুরার শালিখা উপজেলার ভাটোয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিলামে বিক্রয় হওয়া পরিত্যক্ত ভবনের ভিতরের পুরাতন লোহার রড ও বেঞ্চ কতৃপক্ষকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে বলে জানা যায়।

এ সময় এক ভ্যান মালামাল জনতা আটক করে। ইতি পূর্বে পর্যায়ক্রমে স্কুলের শিক্ষকরা কতৃপক্ষকে না জানিয়ে এসব মালামাল বিক্রয় করে আসছিল বলে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার উপজেলার সকল কর্মকর্তা যখন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিল, সেই সুযোগে শিক্ষকরা এক ভ্যান পুরাতন লোহার ও বেঞ্চ চুরি করে বিক্রয় করে দেন। বিষয়টা জনসাধারণ জেনে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্কুলের ২কিলোমিটার দূরে উজগ্রাম থেকে মালামালের ভ্যান আটক করেন। পরে বিষয়টা সভাপতি জেনে ঘটনাস্থলে এসে এ মালামাল জব্দ করেন। কিন্তু পূর্বের কোন মালামাল উদ্ধার হয়নি। নিলামে পাওয়া ঠিকাদার মোঃ জাবেরুল ইসলাম সাগর ও বাবু বলেন, ওই বিল্ডিং থেকে মালামাল শিক্ষকরা চুরি করে বিক্রি করেছে জানতে পেরে উজগ্রাম যেয়ে জনতার সহযোগিতায় এক ভ্যান লোহার বেঞ্চ আটক করে সভাপতির জিম্মায় রেখেছি।

এ ব্যাপারে সভাপতি সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা। বা বিক্রয়ের জন্য কোন রেজুলেশন করা হয় নাই। মালামাল আটক হওয়ার পরে প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানাই এবং স্কুলে আসতে বলেন। পরে আমি স্কুলে এসে জানতে পারি যে শিক্ষকরা পুরাতন লোহার বেঞ্চ বিক্রয় করার পর রাস্তা থেকে জনতার হাতে আটক হয়েছে। এক ভ্যান ভর্তি পুরাতন লোহার বেঞ্চ স্কুলে অন্য রুমে জব্দ করে রেখেছি। এ সময় সভাপতির এক ভাতিজা বলেন, ২০/২৫ দিন আগেও এক ভ্যান ভর্তি লোহার বেঞ্চে রাস্তা দিয়ে যেতে দেখেছি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা সুচিত্রা শিকদার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি প্রথমে বিষয়টা এড়িয়ে যান। পরে আটক হওয়ার সমস্ত বিষয়ে খুলে বললে তখন একটু নমনীয় হয়ে বলেন বিক্রয়ের বিষয়ে সভাপতি সাহেব জানেন। পুরাতন লোহা মাত্র ৪ হাজার টাকা বিক্রি করেছি যা দিয়ে একটি টিন সেটের ঘর তৈরি করা হবে। আর কোন মালামাল বিক্রয় করি নাই। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আকবর আলী মোবাইল ফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।