অর্থ ও বাণিজ্য | তারিখঃ ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 139445 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে দেশে ৯৪ কোটি ১০ লাখ (৯৪১ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১০ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন ধরনের ছাড় ও নানা সুবিধা দেওয়ার পরও আশানুরূপভাবে বাড়ছে না রেমিট্যান্স প্রবাহ। তবে বিভিন্ন ধরনের ছাড় ও নানা সুবিধা দেওয়ার পরও আশানুরূপভাবে বাড়ছে না রেমিট্যান্স প্রবাহ। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
গত নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে এই রেমিট্যান্স কিছুটা বেশি। অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে নভেম্বর মাস বা ডিসেম্বর ১৬ দিনের রেমিট্যান্স বেশি না হলেও কিছুটা ইতিবাচক আছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখি উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসায়িত করতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়। রেমিট্যান্স পাঠাতে আগে প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। সর্বশেষ তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়।
এছাড়া রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ ও রেমিট্যান্স পাঠাতে টাকার উৎস জিজ্ঞাসা করার অপসন বন্ধ করা হয়।
বেসরকারি ব্যাংকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ লাখ মার্কিন ডলার।
ডিসেম্বর প্রথমার্ধেও যথারীতি কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকগুলো হলো, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, উরি ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রেই বরাবরই ব্যাংকগুলো পিছিয়ে।