জীবনধারা ডেস্ক : আমিষ হোক বা নিরামিষ, রান্নার একটি অপরিহার্য অঙ্গ হল আদা। রান্না স্বাদ-গন্ধে অতুলনীয় করে তোলা ছাড়াও আদার রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগুণ। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে শরীরের নানা ব্যথা-বেদনা, সবেতেই খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে আদা। গলাব্যথা হলে চায়ে আদা থেঁতে দিতে পারেন, দ্রুত উপকার পাবেন। আবার কাশি হলে একটুকরো আদা মুখে রাখতে পারেন, কাশির সিরাপ খাওয়ার দরকার পড়বে না। তবে সর্দি-কাশি ছাড়াও আদা শরীরের আরও অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধান করে। সেগুলি জানা থাকলে আদা নিয়ে ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে। সুস্থ থাকবে শরীরও।

বদহজম দূর করে
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকে। অনেকেই চটদলদি মুক্তি পেতে ওষুধও খান। তাতে সব সময়ে যে কাজ হয়, এমনও নয়। অথচ হজমের ওষুধ রয়েছে হেঁশেলেই। নিয়মিত যদি আদা খাওয়া যায়, তা হলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকবেন।

গাঁটের ব্যথা
বসলে উঠতে পারেন না, উঠতে বসলে পারেন— কমবেশি অনেকের বাড়িতেই বয়স্ক সদস্যেদের মধ্যে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। আর্থরাইটিসের সমস্যা অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আদা এই ধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ধারাবাহিক ভাবে আদা খেলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বশে থাকবে।

সর্দি-কাশি
ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির সমস্যায় দারুণ উপকারী ভূমিকা পালন করে আদা। ঘরোয়া উপায়ে ঠান্ডা লাগার সমস্যা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন আদার উপর। চটজলদি সমস্যার সমাধান করবে আদা। আদা শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। শুধু রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও, আদা খাওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি জানা থাকলে খুব অসুবিধা হবে না।

শীতকালে, প্রচুর সংখ্যক লোকের মোশন সিকনেসের সমস্যা থাকে। এই কারণে বমি হওয়া, গা বমি ভাব এবং অনেক সময় ঠান্ডা লাগার সমস্যা হয়। মোশন সিকনেসে আরাম দেয় আদা চা।

আদা চা খেলে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত হয়, যা হার্টকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত আদা চা পান করলে রক্তচাপ যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমন হার্ট অ্যাটাক, রক্ত ​​জমাট বাঁধার মতো সমস্যাও এড়ানো যায়।

শরীরে ফোলা বা আঘাতের ব্যথা কমাতেও আদা চা কার্যকর। আদার মধ্যে উপস্থিত জিঞ্জেরল এবং শোগাওল উপাদানগুলি শরীরে প্রদাহজনক উৎপাদন হ্রাস করে ফোলা এবং ব্যথা উপশম করে।

সুত্র -সংগৃিহীত।