জেলার খবর, ঢাকা বিভাগ, ফরিদপুর | তারিখঃ ডিসেম্বর ৮, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 647 বার
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চলছে সরকারি নিচু জায়গা ভরাটের কাজ। খোদ প্রশাসনের পক্ষ থেকেই থানা সংলগ্ন স্থানে সরকারি জায়গা ভরাটের কাজে সরকার নিষিদ্ধ ড্রেজার বসানোয় প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে বোয়ালমারী উপজেলার সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের নিচু জায়গা ভরাট করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে। ভরাট কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সরকার নিষিদ্ধ অবৈধ ড্রেজার। পার্শ্ববর্তী বারাসিয়া নদীতে এ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ওই নদীর উপর একটি নবনির্মিত ব্রিজও রয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা এর ফলে ঝুঁকিতে পড়তে পারে ব্রিজটি। আশেপাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে আবাসিক এলাকা, দোকানপাটও অবস্থিত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে ঢাকায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে এ ভরাটের কাজ চলছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের আধারকোঠা মাঝিপাড়া নামক স্থানে বারাসিয়া নদীতে সরকার নিষিদ্ধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপের সাহায্যে এনে থানা সংলগ্ন সরকারি নিচু জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের স্থান নবনির্মিত ব্রিজ থেকে ৪০০ গজের মতো দূরে। একাজ সার্বক্ষণিক তদারক করছেন উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী আসিফ ফুহাদ লিংকন। যেখানে ড্রেজার বসানো হয়েছে তার আশেপাশের বাসিন্দারা বলেন, শুনেছি ইউএনও ড্রেজার বসিয়েছেন। এজন্য ভয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে আতঙ্কে আছি।
ড্রেজার মালিক মুন্নু মিয়া বলেন, প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছি। ভূমি অফিসের লিংকন আমাকে ঠিক করেছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট গাজী শাহিদুজ্জামান লিটন বলেন, একমাত্র বালুমহাল যেখানে অবস্থিত সেখান থেকেই শুধুমাত্র ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা যাবে। এছাড়া জনস্বার্থেও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে তবে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকলে সেখান থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না।
বোয়ালমারী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোল্যা শফিকুল ইসলাম বলেন, কোন অবস্থাতেই ব্রিজ হতে ৪০০ মিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসানো যাবে না। এতে ব্রিজের ক্ষতি হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, আমরা যেখান থেকে বালু উত্তোলন করছি তার আশেপাশে পর্যাপ্ত বালু আছে। যেটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপস্থিতিতে ফিল্ড এনালাইসিস করে উত্তোলন করছি। বালিমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে যে, আমরা সরকারি কাজে বালি উত্তোলন ও প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারব। তবে আমরা এখান থেকে বালি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছি না।