জেলার খবর, ঢাকা বিভাগ, ফরিদপুর | তারিখঃ ডিসেম্বর ২, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1289 বার
সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুরে সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলায় বিএনপির ৩১ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরও অর্ধশত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুবুল করিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে জানা যায়, বুধবার বিকেলে চৌধুরী নায়েবা ইউসুফ সমর্থিত মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এফ এম কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল ৪টার দিকে শামা ওবায়েদ সমর্থিত জুলফিকার হোসেন, বেনজীর আহম্মেদের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন সমাবেশে এসে গণ্ডগোল শুর করে। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। সমাবেশস্থলে ভাঙচুর করা হয়। জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ দুপক্ষের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে প্রেস ক্লাবের ভেতর ও বাইরে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা শটগান থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এদিকে, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, বুধবার ফরিদপুর মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে প্রেস ক্লাব চত্বরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এ হামলা হয়। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিজেরা মাথায় পুলিশের মতো হেলমেট পরে বেপরোয়াভাবে ইট পাটকেল, লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সভায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ফরিদপুর বিএনপি দুভাগে বিভক্ত। নিজেদের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে সমাবেশস্থলে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।