স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক : সারা দিন শরীরের হালচাল কেমন থাকবে, তা নির্ভর করে সকালে কী খাবার খাচ্ছেন তার উপর। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের খাবার সবচেয়ে ভারী হওয়া প্রয়োজন। তাতে সারা দিন শরীরে একটা চনমনে ভাব থাকে। ভেতর থেকে সুস্থ থাকে শরীর।

কাজের গতি সচল রাখতে এবং শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সকালের খাবার বাদ দিলে চলবে না। অনেকেরই সকালের খাবারে ডিম, পাউরুটি, কলার মতো স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার থাকে।

খালি পেটে কলা খাওয়া কী আদৌ স্বাস্থ্যকর?
কলার স্বাস্থ্যগুণ অনেক। হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখা থাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- সবেতেই কলার ভূমিকা অনবদ্য। মানসিক অবসাদে ভুগলেও প্রতিদিন কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

কলায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে। কলায় থাকা আয়রন রক্তাল্পতার মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ট্রিপটোফ্যান, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি-র মতো একাধিক স্বাস্থ্যউপকারী গুণ সমৃদ্ধ এই ফলে শরীরের যত্ন নেয়। কিন্তু এতো কিছু গুণ থাকা সত্ত্বেও প্রশ্ন ওঠে খালি পেটে কলা খাওয়া কী আদৌ স্বাস্থ্যকর? কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে কী এর ফলে?

কলায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। এগুলো শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে খালি পেটে এই ফল খেলে কিন্তু উপকারের চেয়ে বেশি অপকার। কলায় চিনির পরিমাণও অনেক বেশি। অনেক ক্ষণ উপোস থাকার পর কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে দিনের শুরুতে কলা খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমায়। পাশাপাশি খালি পেটে কলা খেলে কিন্তু এই সমস্যা উল্টে বেড়ে যেতে পারে।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সকালে কলা খেতে পারেন। তবে অবশ্যই খালি পেটে নয়। কিছু না খেয়ে প্রথমেই কলায় কামড় বসালে অ্যাসিড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া খালি পেটে কলা খেলে রক্তে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়তে পারে হৃদ্‌যন্ত্রের উপরও। ওটস, পাউরুটি বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ার পর কলা খেতে পারেন। তাহলে সমস্যা নেই। কিংবা কলা, ওটস, বেরি, ম্যাপল সিরাপ, কাঠবাদাম দিয়ে একটি স্মুদিও বানিয়ে নিতে পারেন। শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।