ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্যান্টনমেন্ট কিংবা জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে বের হওয়া কোনও রাজনৈতিক দল নয়।

আপনি যখন অসুস্থ ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন; তখন কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ তিনি মানবতার মা। এখন আপনি বলছেন আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার দল নয়। আমরা চাই না কেউ পালিয়ে যাক। আওয়ামী লীগের লোকজন আপনাদের পাহারা দিয়ে রাখবে। আপনাদের মুখে হাসি ফুটানোর রাজনীতি করবো আমরা।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে চালায় আওয়ামী লীগই। আওয়ামী লীগ চাইলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে, না চাইলে আসতে পারবেন না—এই কথা নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ চালায়, বিশ্ব রাজনীতি করেন। আবার মাঝেমধ্যে বিএনপিকেও চালান।’

রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

উৎসবমুখর পরিবেশে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ আট বছর পর এই সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলের পতাকা উত্তোলন করে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে সম্মেলেনর উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সম্মেলনে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে দেশ যেন আর না যায়। সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের যে উন্নত দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, আমরাও যেন সেই স্বপ্ন দেখি। এজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলাম ও নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য ফয়জুর রহমান বাদলকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জহির উদ্দিন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।