সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সোতাশী গ্রামে বিয়ের দাবিতে রাকিব বিশ্বাসের (প্রেমিক) বাড়িতে এক গৃহবধূ অনশন শুরু করেছেন। রাকিব বিশ্বাস সোতাশী গ্রামের রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ওই বাড়িতে হাজির হয়ে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অনশন শুরু করেন গৃহবধূ। তবে তার উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত রকিব বিশ্বাস গা-ঢাকা দিয়েছেন।

অনশনরত গৃহবধূ বলেন, আমার বাবার বাড়ি ফরিদপুরের কানাইপুরে। প্রায় ১২ বছর আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিয়ে হয়। আমার ১০ বছরের ছেলে ও সাত বছরের মেয়ে আছে। রকিব বিশ্বাস কাশিয়ানীর জয়নগর শাখায় এসডিসি এনজিওতে চাকরি করার সুবাদে তিন বছর আগে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিভিন্ন সময়ে মেলামেশার কয়েকটি ছবি তুলে বিয়ের প্রলোভনে আমার কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি বলেন, আমার স্বামী এই সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি উপায়ন্তর না পেয়ে রকিবকে বিয়ের জন্য বললে সে টালবাহানা শুরু করে। এরপর আমি বাধ্য হয়ে সোমবার থেকে তার বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশন শুরু করি।

ওই গৃহবধূ বলেন, আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। আমি রকিবের বাড়িতে আসার পর সে পালিয়ে গেছে। এছাড়া তার পরিবারের লোকজনও বাড়িতে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যায়।

তবে একজনের স্ত্রী থাকা অবস্থায় কীভাবে আরেকজনকে বিয়ে করতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো উপায় নেই। আগের স্বামী আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। প্রয়োজন হলে আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি (বিয়ে বিচ্ছেদ) করে ফেলবো।

এ বিষয়ে জানতে রকিব বিশ্বাসের মোবাইলফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে গৃহবধূর অনশনের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আ. হক শেখ বলেন, মাসখানেক আগে ওই গৃহবধূর পক্ষ থেকে আমার কাছে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রকিব বিশ্বাস সবকিছু মিথ্যা দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, অনশনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। ওই গৃহবধূ সোমবার বিকেল থেকে রকিবের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। আমাকে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু আমি ব্যস্ততার কারণে সেখানে যেতে পারিনি।