নিজস্ব প্রতিবেদক : মাগুরার মোহাম্মদপুরে দাফনের ৩৮ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য আবু বক্কার শেখ (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে মর্গে পেরণ করেছে স্থানীয় পুলিশ।এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব কুমার মালো, সংশ্লিষ্ট কাজে কর্তব্যরত পুলিশ, ডাক্তার এবং ডোম সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, গত ২ রা অক্টোবর মৃত্যুর পর আবু বক্কারের(৫৫) মরদেহ দাফন করা হয়েছিলো।দাফনের দশদিন পর আবু বক্করের ছেলে সিজান মাহামুদ সাগর ১১ অক্টোবর বাবার মৃত্যুর ঘটনায় মাগুরা আদালতে বাদি হয়ে তার মা ও মামাসহ ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি সিএমএম আদালতে রুজু করে কবর থেকে লাশ তোলার নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেডিকেল অফিসারের উপস্থিতিতে লাশ তুলে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার বাদী নিহতের ছেলে সিজান মাহামুদ সাগর জানান,বাবার লাশ দাফনের পর বিশ্বস্ত কয়েকজনের কাছে পিতার মারা যাওয়ার রহস্য জানতে পারি। বক্কার শেখ মারা যাওয়ার ১০ দিন পর গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) তিনি মাগুরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাদির মায়ের কথিত প্রেমিক রকিবুল ইসলাম হিরককে প্রধান আসামী করা হয়েছে। ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে তার মা সিমা পারভীনকে। ৫ নম্বর আসামী করেছেন আপন মামা মাছুদুর রহমানকে। এই মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রয়েছে আরও ৪/৫ জন। মৃতের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের কথাও বলা হয়েছে মামলায়।

গত বুধবার (১১ অক্টোবর) মহম্মদপুর আমলী আদালত মাগুরার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মু. হাবীবুর রহমান দরখাস্তটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার খবর পেয়ে আসামীরা আত্মগোপন করেন।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কবর খুড়ে লাশ উত্তোলন করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে