সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টা ও সহায়তার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করেন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের এক তরুণ (২৭) ছয় বছর সৌদি আরবে থাকার পর এ বছর দেশে ফিরে আসেন। সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় একই উপজেলার এক তরুণীর (২১) সঙ্গে ইমোতে পরিচয় হয় ওই তরুণের। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

আড়াই বছর আগে ওই তরুণীও দেশে ফিরে আসেন। ২৭ অক্টোবর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২৮ অক্টোবর রাতে তিন বোন এবং কয়েকজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান ওই তরুণ।

ওই তরুণ জানান, ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার এক বোন (১৭) বাড়িতে গোসল করছিলেন। হঠাৎ বোনের চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে নববধূর মামাতো ভাই কাউসার (১৯), দুই খালাতো ভাই সোহাগ শেখ ও শিপন শেখ (১৯) দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলে তার বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর তার বোনকে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে বোনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে ওই নববধূ বলেন, ‘ননদের (ভুক্তভোগী কিশোরী) গায়ে রঙ মেখে দেয় তার ছোট বোন (১৬)। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তার ননদ পড়ে গিয়ে ঘরের টিনে আঘাত পান এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

এ বিষয়ে নববধূর বাবা বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্কের কারণে তাদের বিয়ে হয়। তাদের বিয়েতে কোনোভাবেই রাজি ছিলেন না বরের বাবা। এজন্য ঘটনার পর তাদের কাছে মীমাংসার জন্য গেলেও তিনি রাজি হননি।’

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মণ্ডল বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টা ও সহায়তার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।