নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি যশোরের ঝিকরগাছার অদম্য সেই মেধাবী তামান্না নূরার সঙ্গে দেখা করেছেন।

বুধবার (২৬ অক্টোবর ২০২২) যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ পরিদর্শন শেষে দুপুরে তিনি তামান্নার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী পড়াশোনার বিষয়ে তামান্নাকে দিক-নির্দেশনা দেন। একইসাথে তামান্নার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আছেন বলে জানান তিনি। এর আগে, বাম পা দিয়ে লিখে সব বাধা অতিক্রম করে এইচএসসি পর্যন্ত সাফল্য অর্জন করায় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি তামান্নাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফোনে তার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।

তামান্না নূরা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষামন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমি ভালো ফলাফল করার পরে তিনি খুশি হয়ে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তখন তিনি বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমাকে সাহস যুগিয়েছিলেন। ওই সময়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। আজ আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমাকে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমার বর্তমান পড়াশোনা বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।

তামান্না বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী পড়াশোনার বিষয়ে আমাকে দিকনির্দেশনা দেন এবং আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রয়েছেন বলে জানান।’ তামান্না আরও জানান, তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হতে চান। গবেষণায়ও নিজেকে নিয়োজিত করার ইচ্ছে রয়েছে তার। তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, তামান্নার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে। গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ ইউনিটে উত্তীর্ণ হয়েছে সে। গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটে তামান্নার মার্কস এসেছে ৪৮.২৫। যবিপ্রবি মাইক্রোবাইলোজি পড়ার ইচ্ছা তামান্নার।

এসময় তামান্নার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার প্রমুখ। তামান্না শিক্ষামন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।

তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির সন্তান। অদম্য এই মেধাবী শুধুমাত্র একটি পা দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সবকটি পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। তার এই সাফল্যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা ফোন করে তার খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে তারা দুই বোন তামান্নার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেন। তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও করেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা।