জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ মে ৯, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2421 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোজ্যতেরের দাম নিয়ে রোজার আগে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করা ছিলো সরকারের ভুল। ঈদের পর তেলের দাম বাড়তে পারে, সেই তথ্য ব্যবসায়ীদের কাছে আগে থেকেই ছিলো। তাই ডিলার, রিটেইলার পর্যায়ে যে যেভাবে পেরেছে পণ্য মজুদ করেছে। রোজার মাসে দাম না বাড়াতে সরকার তাদের যে অনুরোধ করেছিলো, তারা সে কথা রাখেনি।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠকের শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেনের শুরুতে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তেলের দাম নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর ছাপা হচ্ছে। কিন্তু কোথাও বলা হচ্ছে না, আন্তর্জাতিক বাজারেও তেলের দাম বেড়েছে। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় সব দেশেই তেলের দাম বেড়েছে। তেল নিয়ে কোথায় কোথায় সমস্যা হয়েছে সেটা চিহ্নিত করেছি। আমরা তা প্রকাশ করবো।
এসময় তিনি আরও বলেন, জুন থেকে আবারও ১ কোটি পরিবারকে ন্যায্য মূল্যে নিত্যপণ্য দেবে টিসিবি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। যা শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দাম সমন্বয় করেছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাম সুপার তেলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
যদিও বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দোকানিদের বক্তব্য হচ্ছে, তেল সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। সয়াবিন তেল চাইলে তাদেরকে অন্যান্য পণ্য যেমন, পোলাওয়ের চাল, সরিষার তেল ইত্যাদি নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।