সারাবিশ্ব ডেস্ক : দ্বীতিয় বারের মত ইসরায়েলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধা সমর্থিত সামরিক বাহিনী। এতে লাখ লাখ ইসরায়েলিকে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থান নিতে হয়েছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোররাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ। টাইম অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আরো বিস্তারিত জানানো হয়নি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়েমেনি নেতাদের শিরোচ্ছেদের হুমকি দেয়ার পরদিনই নতুন করে এই হামলার ঘটনা ঘটলো। অবশ্য, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে হুথিরা। তারা ইসরায়েল ও আমেরিকার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে।

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোররাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইয়েমেনি বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে পড়ে ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে এমন সম্ভাবনার কারণে তেলআবিবজুড়ে রেড অ্যালার্ট সাইরেন বাজানো হয়েছিল, যাতে লাখ লাখ ইসরায়েলিকে ঘুম ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়। এসময় হুড়োহুড়িতে অন্তত ২৫ ইসরায়েলি আহত হন।

এর আগে গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থিত সামরিক বাহিনী। হাইপারসনিক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি আঘাত হানে। অনেক চেষ্টা করেও এটি ঠেকাতে পারেনি ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি পার্কে গিয়ে আঘাত হানলে আশপাশের ঘরবাড়িতে থাকা অন্তত ১৬ জন আহত হন। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে তেলআবিবে একটি স্কুলভবন ধ্বংস হয়ে যায়।

সম্প্রতি ইয়েমেনি যোদ্ধাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলিদের জনজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।