মোঃ বদশা প্রামানিক নীলফামারী প্রতিনিধি : ডিমলায় জ্বাল-জ্বালিয়াতি ও ভূমিদস্যু চক্রের মূল হোতা প্রদীপ সরকার গং ও খাঁলিশা চাপানি ইউনিয়নের সাবেক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন খাঁলিশা চাপানি বাঁইশ পোকর গ্রামের নেছার উদ্দিন এর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৫)।

নীলফামারীর ডিমলার খাঁলিশা চাঁপানি ইউনিয়নে গত মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনে শিরাজুল ইসলাম বলেন,জ্বাল দলিল চক্রের মূল হোতা, অসংখ্য মানুষের জমি দখলকারী আওয়ামী লীগ নেতা, আওয়ামী লীগ আমলের আগুন খাওয়া টিমের অন্যতম সদস্য, প্রদীপ সরকার গং ও খাঁলিশা চাঁপানি ইউনিয়নের ভূমি সাবেক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী সাব রেজিস্টার অফিসের বিভিন্ন আমলের সিলমোহর ও কর্মকর্তার স্বাক্ষর জ্বাল করে, ভুয়া মিথ্যা দলিল তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দেওয়া হতো। জোরপূর্বক জমি দখলের জন্য তাদের একটি লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে উঠে। এমনকি গোলাম রব্বানী ও প্রদীপ সরকার গং ইচছারদর খাস খতিয়ানের জমি জ্বাল কাগজ-পাতি, নামজারী ও রেজিস্টার করে স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের মধ্যে আমি একজন ভুক্তভোগী যাহার মামলা নাম্বার ৪৪/২২ ডিমলা সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আমার দখলে থাকা খতিয়ান নম্বর ৭২৫ জে, এল নাম্বার ৪৬, সাবেক দাগ ১৫২৬, জমির পরিমাণ ১ একর ৬৮ শতক,খতিয়ান নম্বর ৪৩৫, দাগ নম্বর ১৩৬৪, জমির পরিমাণ ৬০শতক, দাগ নাম্বার ১৩৬৫, জমির পরিমাণ ৫৫ শতাক। তিন দাগে মোট জমির পরিমাণ ২ একর ৮৩ শতাংশ চাষাবাদকৃত জমি দখলের চেষ্টা করে ভুট্টা, গম নষ্ট করিয়া বেদখলের চেষ্টা করে এবং বর্তমানে আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করিতে থাকে। আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

এ চক্রের মুল হতা প্রদীপ সরকার ১৭৫/২২ মামলাসহ একাধিক জ্বাল-জ্বালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার হন। এসব ভূমিদস্যু ও মিথ্যা মামলা প্রদানকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারেরা।