ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছেন।

বুধবার সকালে বারভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষনা দেন। নির্বাচন বর্জনের ফলে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল নিরংকুশ ভাবে জয়ী হওয়ার পথে।

আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এ্যাড. আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চাপ প্রয়োগ করছেন।

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, তাদের কোন প্রার্থী বা সমর্থক এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট খায়রুজ্জামান জানান, গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

তিনি তাদের দাবির বিষয়ে লিখিতভাবে বারকে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি ছাড়াও দু’জন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট আব্দুল মালেক ও এডভোকেট তারিকুল আলমও পদত্যাগ করেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর আইনজীবী সমিতি ভবনে নির্বাচনের দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশনারের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক আবু হুরাইরা ও সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ৩ দফা দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি লিপি প্রদান করেন। তাতে বলা হয় এই নির্বাচনে আওয়ামী পন্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া মানেই জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে। দলটির বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোন ভাবেই তাদের কোন নির্বাচন বা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হবে না।

এদিকে বারের একটি সুত্র জানায়, ২৮ নভেম্বর আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য ছিল। নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩২০ জন। নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ঐক্য পরিষদের সবুজ প্যানেলে ১৭ জন, আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদরে লাল প্যানেলে ১৭ জন ও সতন্ত্র সাদা প্যানেলে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন।