অনলাইনে ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ঠিক কোথায় থাকছেন, তা নিয়ে বাংলাদেশে যেমন আলোচনা আছে, তেমনই খোদ ভারতেও রয়েছে কৌতূহল।

এবার তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল, তার মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন এবং সামরিক বিমানে করে ভারতের গাজিয়াবাদের কাছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে গিয়ে পৌঁছান।

নরেন্দ্র মোদির সরকার পরে নিশ্চিত করে, শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কোনও তথ্য না দেওয়া হলেও থেমে থাকেনি আলোচনা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাত্রার বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে, ভারতের আলোচক শ্রেণির অনেক সদস্য ব্যক্তিগতভাবে দাবি করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারত সরকারের একটি সেফ হাউসে রয়েছেন; থাকছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে, যিনি গেল ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক পদে চাকরি নিয়েছেন।

এমনকি শেখ হাসিনাকে তার দলবলের সঙ্গে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক ‘লোদি গার্ডেনে’ ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনার শীর্ষ বিদেশি সমর্থক মোদি সরকার এখনও এই বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে। দিল্লির দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো বেশিরভাগই এমন দাবিও করা বন্ধ করে দিয়েছে যে- ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎকার পাবেন।

এদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও দিন দিন জোরালো হচ্ছে বাংলাদেশে।

তবে সাবেক ও বর্তমান অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে ফিরে চাইলেও, সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে ভারত।

ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন জানান, প্রতিবেশী দেশ থেকে অনেক নেতার ভারতে পালিয়ে আসার নজির রয়েছে। আমরা সবসময় তাদের আশ্রয় দিয়েছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাও আমাদের চাওয়া অনুযায়ী রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে থেকেছেন।