০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

শালিখায় এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় মোট জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৯

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৩:৫১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৭

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধিঃ এ বছর মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় এইচএসসির ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে। মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৬০% শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

উপজেলার একটি সরকারি কলেজ সহ ৬টি কলেজের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ভয়ানক পরিস্থিতি। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছেন সদ্য এমপিও ভুক্ত হওয়া হাজরা হাটি সম্মিলনী কলেজ। কলেজটি থেকে ৮০জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৯ জন কৃতকার্য হয়েছে। এরমধ্যে চারজন শিক্ষার্থী এ প্লাস অর্জন করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আড়পাড়া মহিলা কলেজ কলেজটি থেকে এ বছর ৫৭% শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে উপজেলা সদরের আড়পাড়া ডিগ্রী কলেজ। কলেজটিতে এবার পাসের হার মাত্র ১৭%। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০৭ জন। বুনাগাতি ডিগ্রী কলেজে থেকে ২২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ১৬৭ জন অকৃতকার্য হয়েছে পাশের হার ২৬%।

সরস্বতী শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ১১ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৪২%। উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ বিহারীলাল সিকদার ডিগ্রী কলেজ থেকে ২৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩১%। এ প্লাস প্রাপ্ত হয়েছে মাত্র তিনজন। ছয়টি কলেজ থেকে মোট ৯ জন শিক্ষার্থী এ প্লাস প্রাপ্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা গবেষক শ্রী ইন্দ্রনীল বলেন ফলাফল বিপর্যয়ের পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত বিভিন্ন কারণে অনিয়মিত পাঠদান, দ্বিতীয়ত শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি। তৃতীয়ত স্ব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা না নেওয়া এবং অন্য বছরের তুলনায় খাতা মূল্যায়নে ছাড় না দেওয়া।

Please Share This Post in Your Social Media

শালিখায় এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় মোট জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৯

আপডেট: ০৩:৫১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধিঃ এ বছর মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় এইচএসসির ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে। মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৬০% শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

উপজেলার একটি সরকারি কলেজ সহ ৬টি কলেজের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ভয়ানক পরিস্থিতি। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছেন সদ্য এমপিও ভুক্ত হওয়া হাজরা হাটি সম্মিলনী কলেজ। কলেজটি থেকে ৮০জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৯ জন কৃতকার্য হয়েছে। এরমধ্যে চারজন শিক্ষার্থী এ প্লাস অর্জন করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আড়পাড়া মহিলা কলেজ কলেজটি থেকে এ বছর ৫৭% শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে উপজেলা সদরের আড়পাড়া ডিগ্রী কলেজ। কলেজটিতে এবার পাসের হার মাত্র ১৭%। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০৭ জন। বুনাগাতি ডিগ্রী কলেজে থেকে ২২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ১৬৭ জন অকৃতকার্য হয়েছে পাশের হার ২৬%।

সরস্বতী শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ১১ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৪২%। উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ বিহারীলাল সিকদার ডিগ্রী কলেজ থেকে ২৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩১%। এ প্লাস প্রাপ্ত হয়েছে মাত্র তিনজন। ছয়টি কলেজ থেকে মোট ৯ জন শিক্ষার্থী এ প্লাস প্রাপ্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা গবেষক শ্রী ইন্দ্রনীল বলেন ফলাফল বিপর্যয়ের পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত বিভিন্ন কারণে অনিয়মিত পাঠদান, দ্বিতীয়ত শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি। তৃতীয়ত স্ব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা না নেওয়া এবং অন্য বছরের তুলনায় খাতা মূল্যায়নে ছাড় না দেওয়া।