সেনাবাহিনীর বেস ক্যাম্প তৈরিতে বাধা ইউপিডিএফ- খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট: ০৯:০৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ৬

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। “দেশপ্রেম, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর কবির। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতি মানেই পাহাড়ে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের নিশ্চয়তা। দেশের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। তাদের এই ত্যাগের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীর পাশে জনগণকে দাঁড়াতে হবে। সম্প্রীতির এই পাহাড়ে যারা অশান্তি ছড়াতে চায়, তাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।” লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনে ইউপিডিএফের বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ধর্ষণ, গুম ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনিসুজ্জামান ডালিম, খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোকতাদের হোসেন, পিসিএমপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সালমা আহমেদ মৌ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দীন, জেলা সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মাহী, পিসিএমপি জেলা সভাপতি হাছিনা আক্তার, জেলা সহ-সভাপতি মোঃ সুমন আহমেদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন—
১️,ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং সংগঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা।
২️, বর্মাছড়ি এলাকায় স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা।
৩️, পাহাড়ি ও বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪️, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণাকারীদের আইনের আওতায় আনা।
৫️,ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা।
৬️,প্রথাগত বিচারের নামে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া বন্ধ করা।
৭️,রাষ্ট্রীয় আইনে নারীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা।
৮️,পাহাড়ে সকল সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা।
৯️,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে সকল জাতিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান।
সংবাদ সম্মেলনের পুরো সময়জুড়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়নের পথে সকল জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।






















